হোম জাতীয় মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 118 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

দেশে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত অখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সাক্ষাৎকালে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করা যাবে, আমরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। ভোক্তাদের জন্য মার্কেট স্টাডি করতে চাই। মার্কেট মনোপলি না ওলিগপলি, সেটি দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এখনই তার কোনো ডেডলাইন দেয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, কত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে সে বিষয় ডেডলাইন দেয়ার সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে যতগুলো সেক্টর আছে সবাই এক হয়ে সমন্বিত ব্যবস্থা নেবো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েই বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাই। বেশি মুনাফার জন্য মানুষের বুকে চাকু মারলাম, সেটা তো হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেয়া হবে।

‘আমাদের লক্ষ্য এগিয়ে যাওয়া। এর জন্য উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে। এখানে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন, আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই,’’ যোগ করেন আব্দুস শহীদ।

উৎপাদন বাড়াতে কোন ভূমি খালি রাখতে চান না উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যেসব জায়গায় ফসল ফলানো যায়, সেখানে যাতে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয় সে পদক্ষেপ নেবো। প্রয়োজনে আমরা উঠান বৈঠক করবো। গ্রাম পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ফসলের সমস্যা কী, কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না ও সঠিকমাত্রায় সার দিচ্ছে কি না- তা তদারকি করে থাকেন। সেই তদারকি আরও জোরদার হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আব্দুস শহীদ বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। দেশটি কৃষিতে উন্নত। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে। পূর্বাচলে আমরা একটি আন্তর্জাতিকমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা দরকার। এ বিষয়েও তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

জার্মানিতে আম, আনারস, শাকসবজি রফতানির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের বলেছি, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করবো না। এক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন