হোম অন্যান্যসারাদেশ মণিরামপুরে রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ

মণিরামপুরে রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 86 ভিউজ

রিপন হোসেন সাজু, মণিরামপুর (যশোর) :

মণিরামপুরে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) ও উপজেলা উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে সোলিং রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একেক রাস্তায় একই নামে দুইবার করে প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও কাজ হয়েছে একবার; তাও আবার নির্ধারিত অংশের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে কম।

এমন রাস্তা রয়েছে যেখানে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি। আবার কোনো কোনো রাস্তায় নামমাত্র বালি ও নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েকদিন সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, খেদাপাড়া ইউনিয়নে এডিপি ও পিআইসির মাধ্যমে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাতটি রাস্তা সলিং করার কাজ হাতে নেওয়া হয়। যার মধ্যে পাঁচটিতে একই দূরত্বে দুইবার করে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। যেগুলোর তিনটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে, দুই-দুই চার লাখ টাকা করে এবং দুটিতে দেড়-দেড় তিন লাখ টাকা করে। এছাড়া ৯০ হাজার টাকা করে দুটি রাস্তায় ব্যয় ধরা হয়েছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস বলছে, প্রতি লাখে ২৫০ ফুট করে কাজ হওয়ার কথা।

খেদাপাড়া ইউনিয়নের রাস্তাগুলোর মধ্যে খেদাপাড়া বাজারের দক্ষিণ মাথায় নুরোর দোকান থেকে মোসলেমের বাড়িমুখি রাস্তায় ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ২২৫ ফুটের মধ্যে কাজ হয়েছে মাত্র ১৪৭ ফুট। আর বাজারের মান্নানের বাড়ির মোড় থেকে পালপাড়া হয়ে লাবলুর বাড়িমুখি রাস্তাটিতে ৯০ হাজার টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল হকও রাস্তাটিতে কাজ না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলামের দাবি, তিনি এখনো রাস্তাটি ভিজিটের সময় পাননি।

এছাড়া খেদাপাড়ার খাঁপাড়া মসজিদের রাস্তায় দেড় লাখ করে দুইবার তিন লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেখানে কাজ হয়েছে মাত্র ২৩৪ ফুট। এদিকে, রোহিতা ইউনিয়নে দেড় লাখ টাকা করে ছয়টি রাস্তায় একই নামে দুইবার করে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটি রাস্তার মধ্যে একটি এক লাখ টাকা ও দুটিতে দেড় লাখ টাকা করে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইউনিয়ের আমজেদের মোড় থেকে বাগডোব পশ্চিমপাড়া মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় সোলিং কাজে দেড় লাখ করে দুইবারে তিন লাখ টাকার প্রকল্প রয়েছে। সেখানে রাস্তার পাশে পাঁচটি পুকুরের প্যালাসাইডিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। আর রাস্তায় কাজ হয়েছে মাত্র ২৫৪ ফুট। যদিও তিন লাখ টাকায় সাড়ে সাতশ’ ফুট কাজ হওয়ার কথা। এছাড়া ইউনিয়নের গাঙ্গুলিয়া, রাজবাড়িয়া, বাসুদেবপুর এলাকায় রাস্তাগুলো ঘুরে একই চিত্র চোখে পড়েছে।

কাশিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়নের আটটি এক লাখ ও দেড় লাখ বা তার কম বরাদ্দের রাস্তার বেশিরভাগ ৫০-৭০ ভাগ কাজ হয়েছে। উপজেলায় নতুন করে সংস্কার হওয়া অনিয়মের রাস্তাগুলো সরেজমিন ঘুরে বিল দেওয়ার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। সলিংয়ের কাজগুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘অনেক রাস্তা ঘুরে দেখেছি অনিয়ম পাইনি। আমার অফিসের পক্ষে সব রাস্তা ঘুরে দেখা সম্ভব না।’ মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, অনেক রাস্তার কাজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম পেলে বিলে স্বাক্ষর করা হবে না

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন