সৈয়দ শামসের ই এলাহী, বার্তা সম্পাদক :
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী কাজী নওশাদ রাজুর মনোনয়নপত্রে প্রস্তাব করেছিলেন আবু মুসা ও সমর্থনকারী ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান নাসিম। আজ ছিল মনোনয়নপত্রের উপর অভিযোগের শুনানির নির্ধারিত দিন। মুস্তাফিজুর রহমান নাসিম নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ করেন তিনি সভাপতি প্রার্থী কাজি নওশাদ দিল আর রাজুর মনোনয়নপত্রে কোন স্বাক্ষর করেননি।
সাধারণ সিএন্ডএফ এজেন্টের মনে প্রশ্ন উঠেছে, সভাপতি প্রার্থী কাজী রাজুর সমর্থনকারী স্বাক্ষর জাল? নাকি মনোনয়নপত্র স্বাক্ষর করে মুস্তাফিজুর রহমান নাসিম এখন অস্বীকার করছেন? সব মিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন দুজনের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেছে।
পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের প্রেরণ করেছেন। কিন্তু শ্রম অধিদপ্তর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। যার কারণে নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আজ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারিনি।
প্রসঙ্গত, কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারও তিনি সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
একাধিক সিএন্ডএফ এজেন্ট এর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবার নির্বাচনের সময় কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু নিজে সভাপতি প্রার্থী ও একাধিক ব্যক্তিকে সাধারণ সম্পাদক করার প্রস্তাব দেন। সর্বশেষ হাইকোর্টের নির্দেশনায় খুলনার বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর কর্তৃক ঘোষিত অবৈধ কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়া এড়িয়ে গিয়ে কণ্ঠভোটে কমিটি ঘোষণা করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় তিনি আবু মুসা ও মাকসুদ খান কে তার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সভাপতি ও মুস্তাফিজুর রহমান নাসিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। যদিও ওই কমিটি বাতিল হয়ে গেছে। আসন্ন ত্রি বার্ষিক নির্বাচনে কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু সভাপতি , আবু মুসা ও মুস্তাফিজুর রহমান নাসিমকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পৃথকভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যার কারনে আবু মুসা ও মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম দুজনেই সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে স্পষ্ট হয়ে যায়, তিনি নিজে সভাপতি প্রার্থী ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অহিদুল ইসলাম এর সাথে প্যানেল দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ফলে আবু মুসা ও মুস্তাফিজুর রহমান নাসিমের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই মনোনয়নপত্রের স্বাক্ষর নিয়ে অভিযোগ উঠল ।