হোম ফিচার ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে সব ধরণের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম টানা ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অতপরঃ চালু, বিজিবির দাবী ট্রাক ড্রাইভারের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় বন্ধ ছিল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর আবারো সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে সব ধরণের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ভোররাতে বিএসএফের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বন্ধ করে দেয়া হয় সব ধরনের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য।

ভারতীয় বিএসএফ দাবি করছে, তাদের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে। অস্ত্র উদ্ধারে বাংলাদেশ সিমান্তের বিজিবির সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। তবে বিজিবির দাবী, ভারতীয় ট্রাকড্রাইভার ও বাংলাদেশী ট্রাক ড্রাইভারের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম দুপুর ১ টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল।

ভোমরা স্থলবন্দরের সহকারি কমিশনার আমির আল মামুন জানান, সকাল থেকেই সব ধরণের আমদানি রপ্তানি-কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর বেলা ১ টা থেকে শুরু হয়েছে বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। বিএসএফ ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতীয় ঘোজাডাঙ্গা সিমান্তের গেট বন্ধ করে দেয়ায় কোন পণ্যবাহি ট্রাক সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।

তারা জানিয়েছে, তাদের অস্ত্র হারিয়ে গেছে। সেটি উদ্ধারের জন্য বেলা ১টা পর্যন্ত তারা সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রাখে তারা। তিনি বলেন, ভারতীয় পাড়ে এখনও বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক পন্যবাহি ট্রাক। প্রতিদিন ভোমরা বন্দরে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। যদি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক না হতো তাহলে দৈনিক আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব হারাতো সরকার।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আল মাহমুদ জানান, বিএসএফ দাবি করেছে তাদের এক নারী ফোর্সের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে। এ ধরণের একটা তথ্য আমাদের দিয়েছে। বর্তমানে বিএসএফ ওদের বর্ডারে সার্চ অপারেশন চালাচ্ছে। আমাদের এখানেও অপারেশন চালানোর অনুরোধ করেছে। কিছু লোক বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েছে এমন তথ্য তাদের কাছে থাকতে পারে। তবে আমাদের কাছে সে তথ্য দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সীমান্ত এলাকায় আমরা অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। তবে অস্ত্রটা যে বাংলাদেশের লোক নিয়েছে এটার কোন তথ্য প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, ভারতীয় এক ট্রাকড্রাইভার ও বাংলাদেশী এক ট্রাক ড্রাইভারের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে (গাড়ি পাকিং করাকে কেন্দ্র করে) উভয় দেশের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম দুপুর ১ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর আবারো তা স্বাভাবিক হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন