আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই লোকসভায় ছড়াল আতঙ্ক। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়ে দুই ব্যক্তি। তাদের কাছে ‘গ্যাস ছোড়ার সরঞ্জাম’ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে গোটা ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনায় ঘটে। এছাড়া পার্লামেন্ট ভবনের বাইরেও তুলকালাম ঘটিয়েছে কয়েকজন। তবে তাদের উদ্দেশ্য এখনও অস্পষ্ট।
জানা গেছে, ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’ স্লোগান দিতে দিতে ওই দুই ব্যক্তি হঠাৎই লাফ দিয়ে লোকসভার গ্যালারিতে নেমে পড়ে। এই স্লোগানের অর্থ, ‘স্বৈরতন্ত্র চলবে না’।
এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকে দাবি করা হচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে ছিল ‘স্মোক গ্রেনেড’। কী করে তারা তা পেল, এর পেছনে অন্য কোনো গোষ্ঠীর হাত আছে কি না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে এ ঘটনার জেরে সংসদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও আটক করা হয়েছে ওই দুই ব্যক্তিকে।
পুলিশ যে দুজনকে হেফাজতে নিয়েছে তাদের মধ্যে একজনের নাম আমন শিন্ডে। আর একজন হলেন নীলম সিনহা। দুজন যথাক্রমে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এর আগে, ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা চালানো হবে বলে হুঁমকি দিয়েছিলেন শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন। একটি ভিডিও পোস্ট করে এ হুমকি দেন ভারতে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখ ফর জাস্টিস’-র প্রধান।
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে হামলার ২২ বছর পূর্তি। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে পুরনো সংসদ ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে পাঁচ সশস্ত্র ব্যক্তি। অধিবেশন চলাকালীন তারা গুলি চালাতে শুরু করে। সেই হামলায় নিহত হন ৯ জন। নিরাপত্তারক্ষীদের পাল্টা গুলিতে পরে নিহত হন পাঁচ হামলাকারী।