আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাড়ছে অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের কলেবর। দু’দিনের আলোচনা-দরকষাকষির পর নতুন সদস্য নেওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন জোটভুক্ত দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। নতুন সদস্য হচ্ছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, মিসর, আর্জেন্টিনা ও ইথিওপিয়া। যার ফলে এক লাফে দ্বিগুণেরও বেশি বাড়লো ব্রিকসের সদস্যসংখ্যা। এসব দেশকে নিয়ে জোটে বিকল্প মুদ্রা চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। খবর আল জাজিরার।
এর আগে, ব্রিকসের সদস্য বাড়ানো হবে কিনা এই ইস্যুতে বুধবার (২৩ আগস্ট) সারাদিনই চলে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিতর্ক। অবশেষে বৃহস্পতিবার এই মতানৈক্য দূর হয়। ব্রিকস সম্মেলনের শেষ দিনে নতুন সদস্যরাষ্ট্রের নাম ঘোষণা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। এর ফলে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকেই কার্যক্রম শুরু করতে পারবে দেশগুলো।
এ নিয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা বলেন, জোটে নতুন সদস্যদের স্বাগত জানাই। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলে জোটের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। কারণ বিশ্বের ৪৬ শতাংশ মানুষ এখন এই জোটভুক্ত। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক জিডিপির ৩৬ শতাংশই এই জোটভুক্ত দেশগুলোর। ফলে সার্বিকভাবে ব্রিকস এখন একটি বিরাট শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
জোটের সম্প্রসারণকে ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়ে চীনা প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং বলেন, আরও দেশকে ব্রিকস পরিবারের সদস্য হতে দিন। তাতে ব্রিকস প্লাসকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা যাবে। বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থা হবে নিরপেক্ষ এবং যুক্তিসঙ্গত। স্বার্থান্বেষী একটি মহল অর্থনৈতিকভাবে দমনের চেষ্টা করছে এ জোটকে। শিল্পখাতের উন্নয়ন, সাপ্লাই চেইন অব্যাহত রাখতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক চাপে থাকলেও ২০২৪ সালের সম্মেলন রাশিয়ায় করার ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেন, জোটে নতুন সদস্যদের স্বাগত জানাই। আশা করছি আগামী বছর থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারবেন নতুন সদস্যরা। ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে আপনাদের আগ্রহই প্রকাশ করে এই জোটের কার্যকারিতা। আশা করছি সামনে আমাদের যাত্রা আরও সফল হবে।
বলা হচ্ছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে পশ্চিমা আধিপত্য কমানোর লক্ষ্যেই জোটের পরিসর বাড়াচ্ছে ব্রিকস। ডলারের আধিপত্য কমাতে, জোটে বিকল্প মুদ্রা চালুর প্রস্তাবও দিয়েছেন লুলা ডি সিলভা।