রিপন হোসেন সাজু:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত আনাছ মাহমুদ রুম্মান ডাক্তার হতে চান। বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি মেডিকেল কোচিংয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ধলিগাতি গ্রামের আজহারুল ইসলাম ও রুমা দম্পতির বড় সন্তান রুম্মান। তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা টঙ্গি শাখা থেকে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। গত ১৮ জুলাই উত্তরায় আন্দোলন চলাকালে হামলায় আহত হন রুম্মান। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে যশোরে গ্রামের বাড়ি চলে যায়। এখন আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার জন্য অসুস্থ অবস্থায়ও প্রস্তুত করছে নিজেকে। রুম্মান জানায়, আন্দোলনের জন্য আমাদের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। এ সময় আমি ও আমার কয়েকজন বন্ধু আন্দোলনে যোগ দিই। আন্দোলন চলাকালে ১৮ জুলাই আমরা উত্তরায় সমবেত হয়েছিলাম। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা আমাদের চারিপাশ দিয়ে ঘিরে পেটাতে থাকে ও গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় ছররা গুলি এসে আমার শরীরে বিদ্ধ হয়। আমি তারপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। যখন জ্ঞান ফেরে তখন আমি হাসপাতালের বিছানায়। আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। তবুও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি চিকিৎসক হতে চাই। রুম্মানের বাবা আজহারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমার ছেলের গুলিবিদ্ধের খবর শুনে আমি তাৎক্ষণিক ঢাকায় চলে যাই। হাসপাতালে বিছানায় আহত ছেলেকে দেখে কখনো ভাবিনি যে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। আমি সামান্য একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। আমার অফিসের বেতনও বন্ধ দীর্ঘদিন। এরইমধ্যে ছেলে ও ছোট মেয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমি কোনো সহায়তা পাইনি। এ বিষয়ে মনিরামপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, আহতদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে স্ব স্ব পরিবার-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যদি কেউ সহায়তা না পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের জানালে পুনঃরায় মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হবে।