হোম ফিচার বিরোধীদের বর্জনের পরেও নির্বাচনে আগ্রহ বেড়েছে ভোটারদের

রাজনীতি ডেস্ক:

জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটির নির্বাচনে পাস করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিরোধীদের ভোট বর্জনের পরও ভোটে আগ্রহ বেড়েছে। এমনটা মনে করছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তারা। ভোট উৎসবের জন্য রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প দেখছেন না তারা।

উপনির্বাচন থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ভোট বর্জনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পাঁচ সিটির নির্বাচনেও অংশ নেয়নি দলটি। এমনকি দলের নেতাকর্মী যারা এতে অংশ নিয়েছেন তাদের করা হয়েছে বহিষ্কার। তবে এতকিছুর পরেও হুমকি-ধমকিতে দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভোট থেকে ফেরানো যায়নি।

তবে বিএনপির বর্জনের পরেও ভোটের হিসাবে পাঁচ সিটির নির্বাচনেই আগ্রহ দেখিয়েছেন ভোটাররা। ভোটের হার বলছে: গাজীপুরে ভোট পড়েছে ৪৮.৭৫ শতাংশ, খুলনায় ৪৮.১৭, সিলেটে ৪৬.৭১, বরিশালে ৫১.৪৬ এবং রাজশাহীতে ভোটের হার ৫৬.২০ শতাংশ।

গড়ে পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশের মতো।

এরমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীদের বর্জনের পরেও ভোটারদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণটা কি? তাহলে কি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে ইসির পদক্ষেপে ভোটারদের আস্থা বেড়েছে?

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হুসাইন মনে করেন, নির্বাচন ভালো হওয়ায় মানুষ উৎসাহ পাবে। তারা ভোট দিতে আসবে। পরিবেশ-পরিস্থিতি ভালো হলে ভোট উৎসবমুখর হবে।

অন্যদিকে সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ মনে করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ভরসা পেলে ভোটার বাড়বে। নির্বাচনও হবে অংশগ্রহণমূলক।

তবে স্থানীয় নির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের সমীকরণ মেলানো ঠিক হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে সমঝোতা ও আলোচনার বিকল্প নেই।

অন্যদিকে তারা বলছেন, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করেছে বিএনপি। অথচ সরকারী দল স্থানীয় নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে আরো সুসংগঠিত করেছে। যা জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আরো চাঙ্গা করবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন