খুলনা অফিস:
ডুমুরিয়ার চুকনগরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত চুকনগর দিব্যপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে শহীদ মিনার আড়াল করে বিধি বহির্ভূতভাবে নির্মানাধীন দোকান ঘর স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আমীর হোসেন মোল্যা।
শনিবার দুপুর দেড় টার দিকে তিনি চুকনগর দিব্যপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্মানাধীন এই স্থাপনাটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ভাষা শহীদদের স্মরনে নির্মিত শহীদ মিনারকে অবমাননা করে স্থাপনা নির্মাণ করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হয়েছে। তাছাড়া এই মাঠে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭০ এর নির্বাচনের আগে নির্বাচনী জনসভা করেছিলেন, সেদিক দিয়েও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে অবমাননা করা হয়েছে যা কোনভাবে মেনে নেয়া যায়না। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটি ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছে, ডিজি, শিক্ষাবোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত না করে কোন অবস্থায় ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করতে পারেনা।
বিদ্যালয়ে যেহেতু এ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব পালন করছে সেহেতু বিধি অনুযায়ী তারা শুধু একটি নির্বাচনের আয়োজন করা এবং বেতন শীটে স্বাক্ষর করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনা। এসময় বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ কুমার রায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির (এ্যাডহক) সভাপতি সরদার মোস্তাফিজুর রহমান দুলু, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম নূরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা জহুরুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দিন মোড়ল, শেখ আব্দুস সামাদ, যুবলীগ নেতা আবু দাউদ মোড়ল সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যশোর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূতভাবে স্থাপনা নির্মাণের জন্যে এ্যাডহক কমিটির বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর তিনি বিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস, প্রশ্ন জমা দেয়াসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দায়ীত্ব অবহেলাকারী সহকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করে তা বোর্ডকে অবহিত করতে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন।