শিক্ষা ডেস্ক :
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিতর্কিত বাংলা প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী প্রশান্ত কুমার পাল। তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ডা. সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ওই প্রশ্ন প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত চার মডারেটরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্র তৈরির প্রক্রিয়ায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের দেয়া প্রশ্নের চতুর্থ পৃষ্ঠার ১১ নম্বর প্রশ্নে এমন বিষয়কে বেছে নেয়া হয়, যা খুবই সংবেদনশীল বিষয়। এতে সাম্প্রদায়িক উসকানি রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকেও লেখালেখিও হচ্ছে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরকে খুঁজে বের করার কাজে নামে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। ইতো মধ্যে ওই শিক্ষকদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তারা যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন কলেজে কর্মরত।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ডা. সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। তাকে মডারেটরকারী চারজনের মধ্যে দুজন নড়াইলের দুইটি কলেজের এবং বাকি দুইজনের একজন সাতক্ষীরার একটি কলেজের এবং আরেকজন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার একটি কলেজের শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক গোলাম রব্বানীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্র তৈরির প্রক্রিয়ায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, প্রশ্ন প্রণয়নকারীদের জন্য আমাদের পরিষ্কার নির্দেশনা থাকে যেন সাম্প্রদায়িক চিন্তা, ধর্মীয় চিন্তা পরিপন্থী বা রাষ্ট্র বিরোধী কোনো বিষয় প্রশ্নে না থাকে। এটা মৌখিক ও লিখিত দুইভাবেই জানানো হয়।
অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র আরও জানান, প্রশ্নপত্র তৈরির পর মডারেটররা যাচাই করে সিলগালা করে পাঠান। ফলে তা বোর্ডের কেউ দেখতে পায় না। সিলগালা প্রশ্নগুলো ওভাবেই ঢাকায় পাঠানো হয়।
বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাত কার্যদিবসের তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।