খেলাধুলা ডেস্ক :
স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনাকে সুখবর দিলেন ফরোয়ার্ড আনসু ফাতি। গত বছর ইনজুরিতে পড়ার পর মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) প্রথমবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন তিনি। বার্সা মনে করছে ফাতির ম্যাচে ফেরার সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কোনো দিন। তখন আন্তর্জাতিক বিরতি কেবল শেষ হবে, বার্সার খেলোয়াড়রাও ছুটি শেষে ক্লাবে ফিরতে শুরু করবেন। এরপর দলটি প্রথম ম্যাচ খেলবে সেভিয়ার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে বার্সা ফাতিকে পাবে বলে আশা করছে।
১৮ বছর বয়সি এই তারকার সঙ্গে অনুশীলনে ছিলেন বার্সার অন্য প্লেয়াররাও। তার ফিরে আসা নতুন করে আশা দেখাচ্ছে মেসি বিহীন বার্সাকে। হাঁটুর অপারেশন করার পর দ্রুত সেরেও উঠেছেন তিনি। যদিও ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে মাঠে ফেরানোর জন্য কোনো প্রকার তাড়াহুড়ো করছে না। এতে বরং হিতে বিপরীত ফল বয়ে আসতে পারে। এর চেয়ে বার্সা তাকে সময় দিতে চায় সর্বোচ্চ ফিট হয়ে ওঠার জন্য। অপারেশনের পর আনসু ফাতির ফেরার মিশন শুরু হয়েছিল একার অনুশীলন দিয়ে, এ মাসের ৫ তারিখ। দীর্ঘ দিন ধরে চোট রিকভারি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাও করছেন তিনি।
গত বছর ৭ নভেম্বর রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ম্যাচে হাঁটুর চোটে পড়েছিলেন ফাতি। এর দুই দিন পর বাম হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। তখনই কেউ কেউ ধারনা করেছিলেন, লম্বা সময়ের জন্যই মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন ফাতি। সেটাই সত্যি হয়েছে শেষ পর্যন্ত। প্রায় নয় মাস পর প্রথম দলের সঙ্গে মাঠে ফিরলেন তিনি।
ফাতির বার্সার জার্সিতে অভিষেক ঘটেছিল ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট। তার আগে জুলাইয়ে ক্লাবটির সঙ্গে ২০২২ সাল নাগাদ চুক্তিতে সই করেন তিনি। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত অসংখ্য রেকর্ড নিউজের দখলে নিয়েছেন এই তারকা। গত মৌসুমে মাত্র ১৭ বছর বয়সে গোল করে এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। তখন ফাতির বয়স ছিল ১৭ বছর ৩৫৯ দিন বয়সে। ওই গোলটি আবার রিয়ালের বিপক্ষে বার্সার ৪০০তম গোল। লা লিগায় সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবেও গোল করার রেকর্ড তার। ফাতির রেকর্ড আছে স্পেন জাতীয় দলের হয়েও। জাতীয় দলের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করেছেন ফাতি, যা স্পেন জাতীয় দলের ইতিহাসে প্রথম।
২০০২ সালে আফ্রিকার গিনি বিসাউয়ে জন্ম ফাতির। প্রায় ছয় বছর পর স্পেনের সেভিয়ায় চলে এসেছিল তার পরিবার। তিনি বার্সায় যোগ দেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। সেখান থেকেই বার্সার সিনিয়র দলে।