বাণিজ্য ডেস্ক :
বাজেট নিয়ে অবশেষে সুর পাল্টে সরকারের বন্দনায় সিপিডি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে দেয়া আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় তারা জানায়, সরকারের উন্নয়ন টেকসই হচ্ছে। বৈশ্বিক সংকটকালে প্রস্তাবিত বাজেটে সঠিকভাবেই চিহ্নিত করা হয়েছে সমস্যাগুলো। যদিও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও নিম্ন আয়ের মানুষকে সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে এবারের বাজেটে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেই বলেও দাবি সিপিডির।
সরকারের উন্নয়ন টেকসই হচ্ছে–২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে দেয়া আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। শুক্রবার (১০ জুন) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্থাটি জানায়, বৈশ্বিক সংকটকালে প্রস্তাবিত বাজেটে সঠিকভাবেই চিহ্নিত করা হয় সমস্যাগুলো।
বরাবরের মতো এবারও জাতীয় বাজেট উত্থাপনের পরদিন বিশ্লেষণ তুলে ধরতে শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমের সামনে আসে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। প্রতিবারই বাজেটের পর কঠোর সমালোচনা করলেও এবার দেশের উন্নয়ন-কৌশলের প্রশংসা করে সংস্থাটি।
শুরুতেই সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বৈশ্বিক সংকটকালে প্রস্তাবিত এবারের বাজেটে আগামীর সমস্যা চিহ্নিত করতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সরকার।
তার মতে, কৃষিতে যে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে, সেটা উৎপাদনের জন্য ভালো, বাজারে মূল্য স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
প্রকল্পে বরাদ্দ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সতর্ক পদক্ষেপ নিলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অবাস্তব কৌশল নিয়েছে সরকার। বিরোধিতা করা হয় অর্থ পাচারকারীদের শাস্তি না দিয়ে তা দেশে আনার সুযোগ করে দেয়ার মতো উদ্যোগের।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে দেশের বাইরে টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু এবার যে সুবিধা দেয়া হলো সেটা নৈতিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।
বলা হয়, কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হলেও ইতিবাচক দিক হলো সরকার এখন উন্নয়নকে টেকসই করার দিকেই বেশি মনোযোগী।
নির্বাচনের আগে বাজেটে রাজনৈতিক সুবিধা বাড়ানোর মনোভাব থেকে সরকার বেরিয়ে এসেছে–সে উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সিপিডি।