মোহাম্মদ আরীফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ :
বাজিতপুরবাসীকে একটি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন পৌরসভা উপহার দিতে চাই। আমি ২ বারের মেয়র, পৌরসভায় এসেছি ২০১৫ সালে। বিগত ২৫ বছর বিএনপির হাতে ছিল বাজিতপুর পৌরবাসীর দ্বায়িত্ব। যার কারনে ২৫ বছর পৌর এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি কোথায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ভাগিদার হয়ে আমিও আমার পৌরবাসিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত, ইভটিজিং মুক্ত, মাদক মুক্ত, বাল্যবিবাহ মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, জঙ্গিবাদ মুক্ত একটি নগরির। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আগামি ৫ বছরের মধ্যে আমি আমার পৌর সভাকে একটি ডিজিটাল এবং উন্নত পৌরসভায় রুপান্তরিত করব ইনশাল্লাহ। এমনটাই বলছিলেন বাজিতপুর পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ।
১৮৬৯ সালে ১০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বাজিতপুর পৌরসভা। যার জনসংখ্যা ১লক্ষ ২৬ হাজার। ২০২০- ২১ অর্থ বছরে পৌরসভার রাজস্ব আয় ২ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭৬৮ টাকা। এ পৌরসভায় ৪ টি বাজার, ২ টি বাসস্ট্যেন্ড, ১ টি কলেজ, ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪ টি মাদ্রাসা, ৪৯ টি মসজিদ, একাধিক মন্দির, জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ সহ বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে আসে।বাজিতপুর প্রতি রবিবার সপ্তাহিক হাট বসে। এ ছাড়া বিগত ৫ বছরে ৬৮ কোটি টাকার কাজ হয়েছে পৌর এলাকার উন্নয়নে। দুইটি লিংক রোড ব্যতিত পৌর এলাকার কোন জায়গা কাঁচা নেই এখন আর। বাজিতপুর পৌরসভাকে ২য় শ্রেনী থেকে ১ম শ্রেনীতে উন্নিত করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
অসহায় দরিদ্র পরিবারের জন্য হেল্ডিং টেক্স মওকুফ করা হয়েছে বাজিতপুর পৌরসভাতে। বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন দেওয়ার জন্য একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যায়। এ ছাড়া বিনামূল্যে চিকিৎসা কেন্দ্র করার পরিকল্পনাও রয়েছে। পৌরসভা এলাকায় বাচ্চাদের জন্য শিশু পার্ক, সৌখিন মানুষদের জন্য ওয়ার্কিং রোড ও লেক গুলোকে পার্কে রুপান্তরিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে ভবিষ্যতে। দীর্ঘদিন ধরে বাজিতপুরবাসীর প্রাণের দাবী বাজিতপুর একটি জেলা হোক।