বাণিজ্য ডেস্ক :
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটি’।
সোমবার (৪ এপ্রিল) দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটি কর্তৃক বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে যাতে করে রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
উল্লেখিত প্রধান সুপারিশসমূহ:
১. বন্দরসমূহে পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।
২. একইভাবে পণ্য পরিবহনে ফেরি পারাপারের ক্ষেত্রে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।
৩. ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৪. সংশ্লিষ্ট পণ্য পরিবহনে পুলিশ কর্তৃক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৫. কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও মজুতকারীর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
৬. পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে অতিরিক্ত মুনাফার বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া হবে।
৭. খুচরা পর্যায়ে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও পাকা রশিদের সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. প্রকৃত ডিলার থেকে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। ভুয়া কিংবা অনুমোদনহীন ডিলার থেকে পণ্য সরবরাহ করা যাবে না।
৯. ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে উল্লেখিত ৭ নম্বর পয়েন্টটি আরও ভালোভাবে মেনে চলতে হবে।
১০. যারা পণ্য মজুদ করবে ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১. মিলসমূহে নজরদারি বাড়ানো হবে ও আইনের ব্যত্যয় ঘটলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১২. ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ, পরিশোধনের পরিমাণ ও পরিবেশকদের নিকট সরবরাহের সামঞ্জস্য রয়েছে কিনা তা ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
১৩. মিলসমূহ কর্তৃক পরিবেশক নিয়োগ সংক্রান্ত হালনাগাদ তালিকা সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে।
১৪. ভোজ্যতেল রিফাইনারি কর্তৃক প্রচলিত আইনের প্রয়োগ জোরদার করতে হবে।
১৫. অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশে আইন মেনে চলতে হবে।
১৬. ভবিষ্যতে যাতে ভোজ্যতেল নিয়ে এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়, তাই সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে।