জাতীয় ডেস্ক :
বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি এখনও সক্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, অপশক্তিকে রুখে দিতে বাংলাদেশি তরুণ সমাজকে সচেতন হতে হবে। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত ইস্যুগুলো শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই সমাধান হবে বলেও আশাবাদ জানান ভারতীয় হাইকমিশনার।
শনিবার (৪ জুন) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন দোরাইস্বামী। এদিকে, স্বাধীনতাবিরোধীরা গভীর ষড়যন্ত্র করছে জানিয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের পুরোটা জুড়েই স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের পাশে ছিল ভারত। বিরল সহযোগিতার জন্য দুই দেশের সম্পর্ক শুধুমাত্র বন্ধুপ্রতীমের গণ্ডিতে আটকে না থেকে রূপ নেয় রক্ত দিয়ে গড়া এক অবিচ্ছেদ্য ভ্রাতৃত্বে। ১৯৭১ থেকে যা অব্যাহত আছে আজ অবধি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে, জাতীয় জাদুঘরে আলোচনা সভায় অংশ নেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি ও সাম্প্রদায়িক শক্তি, তারা এখনও সক্রিয়।
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, আমাদের মধ্যে কিছুটা মতৈক্য আছে, তবে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব এগুলোর সবকিছুই সমাধান হবে।
এদিকে, আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, যারা ১৯৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে ওঠার কথা বলছে, তারাই গভীর ষড়যন্ত্র করছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত শুধুমাত্র প্রতিবেশী দেশ নয়, এর চেয়ে বেশি কিছু- এমন মন্তব্য করে সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বিষয়টিগুলো নিষ্পত্তি করা সম্ভব।