হোম জাতীয় বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমন নিয়ে সাতক্ষীরাবাসীর প্রতিক্রিয়া জানতে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মতবিনিময়

বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমন নিয়ে সাতক্ষীরাবাসীর প্রতিক্রিয়া জানতে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মতবিনিময়

কর্তৃক
০ মন্তব্য 138 ভিউজ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা জেলার করোনা ভাইরাস সংক্রমন নিয়ে জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জে এস ডি, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম, সাম্যবাদী দল ও নাগরিক কমিটির মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নাগরিক নেতা আনোয়ার জাহিদ তপনের বাসায় উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন জাসদ সভাপতি ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, জেএসডির যুগ্ম সম্পাদক সুধাংশু শেখর সরকার ও আঃ রাজ্জাক, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি সরদার কাজেম আলী, সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম হেলাল, জাসদ নেতা আশরাফ সরকার, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল, সাম্যবাদী দলের তরিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মতামত প্রকাশ করেন। এছাড়া নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিছুর রহিম ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ বর্তমান পরিস্থিতিতে মতামত ব্যক্ত করেন। জাতীয় পার্টির সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ তপন বলেন, সাতক্ষীরা জেলার ৪৩% মানুষ দারিদ্য সীমার নীচে বাস করে। গরিব, দুঃস্থ, ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য কমপক্ষে ৬ মাসের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন। জাসদ সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় কমপক্ষে ৩লক্ষ পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটার প্যাকেট রেশনিং ব্যবস্থা করা উচিত। জে এস ডি নেতা সুধাংশু শেখর বলেন, সাতক্ষীরাবাসীকে রক্ষা করতে সর্বদলীয় কমিটি করা উচিৎ। বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি সরদার কাজেম আলী বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের মত মহাঐক্য গড়ে তুলে সাতক্ষীরার সকল মানুষের আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য সহায়তার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা উচিত।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, অস্থায়ী শ্রমিক ও নানান ধলনের শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে কমপক্ষে ছয় মাসের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানানো উচিত।
গণফোরাম নেতা আলীনুর খান বাবুল বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাবাসীর অবস্থা খুবই করুন। যারা কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাদের দেখাশোনা খুবই ত্রুটি হচ্ছে। বাংলাদেশ জাসদ সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, ২৫লক্ষ মানুষের মধ্যে ২২লক্ষ মানুষ চরম সংকটে। হাসপাতালে গুলো প্রায় বন্ধ। সব ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রায় বন্ধ। সরকারের উচিৎ জেলায় একটি তথ্য সেল খোলা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের উচিৎ ৪জন সংসদ সদস্যের পরামর্শ অনুযায়ী সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চাহিদা কে আমলে নিয়ে সরকারের কাছে চাহিদা পত্র দেওয়া।
নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিছুর রহিম বলেন, দুগ্ধ খামার পোল্ট্রী খামার, চিংড়ী চাষ ও আম চাষীদের সুরক্ষার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আযাদ বলেন, সামাজিক সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য ব্যাপকবাবে প্রচার কার্য চালানো উচিৎ। গরিব মানুষের পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দরকার। জেলায় করোনা সংক্রমন পরীক্ষা কেন্দ্র খোলা খুবই জরুরী।
বর্তমানে জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিব মারফত প্রধানমন্ত্রী কাছে স্মারক লিপি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন