রাজনীতি ডেস্ক:
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এক নম্বর ক্ষতি করা হয়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার। দেশের নাগরিকদের দক্ষ করে তোলা এবং জনসম্পদে পরিণত করার দর্শনকে কবর দেওয়া হয়েছিল ওই ঘটনার মাধ্যমে।
বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এপিইউবি চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, এপিইউবির সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিস আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, জ্ঞান সৃজন ও দক্ষতা অর্জনে জাতির জনক ড. কুদরৎ-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন করেছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে ক্ষতির তালিকা তৈরি হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, এক নম্বর ক্ষতি করা হয়েছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে। কারণ, জাতির প্রত্যেক নাগরিককে দক্ষ করে তোলা এবং জনসম্পদে পরিণত করার যে দর্শন তার ছিল সেটাকে কবর দেওয়া হয়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেখা হয়েছে দল ভারী করা, ক্যাডার তৈরি করা, অপরাজনীতির সূচনার জায়গা হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেখা হতো সেনা ছাউনি থেকে।
বেসরকারি উচ্চশিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক ছিলেন, তিনি মানুষের মধ্যে সমতা দেখতেন, নারী ও পুরুষের সমতা দেখতেন। ধর্মীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে নাগরিক হবে, মানুষের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার এবং একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। আমরা যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এসব মূল্যবোধ শেখাতে না পারি তাহলে সুনাগরিক পাব না।