জাতীয় ডেস্ক:
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে আইন ভেঙে রেসিংয়ে অংশ নেয়া ছয়টি গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। তবে আদালত থেকে আগেই জামিন নিয়েছেন পাঁচ আসামি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিকলবাহার পুলিশ ফাঁড়িতে লাইন করে রাখা লাল রঙের ল্যান্সার ইভোল্যুশন স্পোর্টস কার, তার পাশেই জি সুপিরিয়র, হুনদাই, মাজদার মতো দামি গাড়ি। এসব গাড়ি নিয়ে ভয়ঙ্কর রেসিংয়ে মেতে উঠেছিলো বঙ্গবন্ধু টানেলের ভেতর। শুধু তাই নয়, গাড়িগুলোর ছিলো বিপদজনক ওভারটেকিংও।
এর আগে উদ্বোধনের পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে গাড়ি রেসের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। পরে টানেলের ভেতরে-বাইরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে রেস অংশ নেয়া গাড়িগুলো শনাক্ত করা হয়। পরে সড়ক পরিবহন আইনের কর্ণফুলী থানায় সাতটি প্রাইভেট কারের নম্বর উল্লেখ করে মামলা দায়ী করে টানেল পরিচালনা করে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। মামলার পরপরই বিআরটিএ থেকে গাড়িগুলোর মালিকানা যাচাই-বাছাই শেষে সাতটি গাড়ি মধ্যে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ছয়টি গাড়ি জব্দ করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্টপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বলেন, সাতটি গাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। বাকি একটাও জব্দ করা হবে। মামলার পর গাড়ি বিক্রি, সরিয়ে ফেলা এবং আসামিরা গা ঢাকার চেষ্টা করেছে।
এদিকে মামলার তদন্তে পুলিশ এজাহারের বাইরে রেসিং অংশ নেয়া আরও দুটি গাড়ি শনাক্ত করা হয়। যেগুলো আটকের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয়েছে।
সড়ক পরিবহন আইনে মামলার এজাহারে কারের নম্বর উল্লেখ করে সাতটি কারের অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। সাত প্রাইভেটকারের মধ্যে আছে- চট্ট মেট্রো-গ-১২-৯০৪৩, চট্ট মেট্রো-ঘ-১১-৫৭০২, ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৮৯৩৫, ঢাকা মেট্রো-খ-১২-১৮১৪, চট্ট মেট্রো-গ-১৩-৩৫৭৩, চট্ট মেট্রো-গ-১৪-২২৫৪ ও ঢাকা মেট্রো-ভ-১১-০২১৭। মামলায় আরও দুই থেকে তিনটি প্রাইভেট কারের চালকসহ তাদের সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাতে টানেলে ঝুঁকি নিয়ে কার রেসিং করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভিডিও ভাইরাল হয়। সমালোচনার ঝড় ওঠে সারা দেশে। নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে।