স্পোর্টস ডেস্ক:
হাঁটুর ইনজুরিতে বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি এবাদত হোসেন। এই পেসারের অভাব বিশ্বকাপে ভালোভাবেই টের পেয়েছে বাংলাদেশ। সামনে টাইগারদের ব্যস্ত ক্রিকেটসূচি। অথচ ইনজুরিতে জেরবার দল। ফলে এবাদতের অভাব আরও বেশিই ভোগাচ্ছে টাইগারদের। কিন্তু আশার আলো সহসাই দেখার সম্ভাবনা নেই। শিগগিরই মাঠে ফেরা হচ্ছে না এই পেসারের।
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি অভাববোধ করবে এবাদত হোসেনের। মাঠের খেলায় সাকিবের কথার প্রমাণ ভালোভাবেই বোঝা গেছে। মাঝের ওভারে প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নেওয়ার মতো বোলারের অভাব ছিল বাংলাদেশ দলে। সেই সঙ্গে এবাদতের আগ্রাসনও মিস করেছে দল।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগেও এবাদতের অভাব বোধ করছে বাংলাদেশ। কিন্তু ঘরের মাঠের টেস্ট সিরিজ তো বটেই, চলতি বছরেই মাঠে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই ২৯ বছর বয়সী এবাদতের। এমনকি আগামী বছর বিপিএলের আগেই ফিরতে পারবেন না তিনি। তবে আশার খবর হচ্ছে, এবাদতের ইনজুরির বর্তমান অবস্থা সমর্কে জানতে ফের লন্ডনে পাঠানো হচ্ছে তাকে। চলতি মাসের ৩০ তারিখে দেশ ছাড়ছেন তিনি।
এশিয়া কাপের আগে আফগানিস্তান সিরিজে এন্টেরিয়র ক্রুশিয়েট লিগামেন্টে চোট পান এবাদত। অ্যাথলেটদের জন্য ভয়াবহ এই ইনজুরিতে দীর্ঘ সময়ের জন্যই মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে চলতি বছরের জুলাইয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলা এবাদতকে। এরপর লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারও করান তিনি। বিশ্বকাপের মাঝে মিরপুরে এলেও আপাতত হাঁটাচলাই করছেন শুধু।
লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে যাওয়া এবাদতের ইনজুরির সর্বশেষ অবস্থা বুঝতে ফের লন্ডনে পাঠানো হচ্ছে এবাদতকে। এই প্রসঙ্গে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘ইবাদতের হাঁটুর অপারেশন হয়েছে দুই মাস হতে চলল। সে তার চোটের অবস্থা বুঝতে আবারও ইংল্যান্ড যাচ্ছে।’
এবাদতের ইনজুরির উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘অগ্রগতি হয়েছে, তবে চোটের অবস্থা বুঝতে যে অপারেশন করেছে তার কাছে পাঠানো হচ্ছে ইবাদতকে। এই মাসের ৩০ তারিখ ওর ডাক্তার দেখানোর কথা। এর দুই-একদিন আগে সে যাবে, ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে আবার কয়েকদিন পরই ফিরে আসবে।’