হোম অন্যান্যসারাদেশ ফকিরহাটের টাউন-নওয়াপাড়া পান বাজার নানা সমস্যায় জর্জরিত

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া পান বাজারের চান্দিনাগুলো ব্যাবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ২০বছর যাবৎ বাজারটির কোন উন্নয়ন না হওয়ায় চান্দিনার মধ্যে কোন ক্রেতা-বিক্রেতা পান ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছে না। ফলে বাজারে আগত ক্রেতা বিক্রেতারা ভুগছেন নানা সমস্যায়। অতিদ্রুত দুইটি বাজারের সকল চান্দিনা মেরামত সহ বাজারটি উন্নয়ন করার জন্য স্থানীয় সচেতন মহল উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবী করেছেন।

স্থানীরা জানান, টাউন নওয়াপাড়া (ঘোষের-হাট) পান বাজারটি জেলার সর্ববৃহৎ পান বাজার হিসাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এর পরিচিতি রয়েছে। তৎকালিন জমিদার শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ এই বাজারটি স্থাপন করেন। সেই সময়ে বাজারটির নাম ছিল টাউন নওয়াপাড়া ঘোষের হাট।

বর্তমানে এটির নাম করণ করা হয়েছে টাউন নওয়াপাড়া পানের হাট। বাগেরহাট, পিরোজপুর, নাজিরপুর, বিষ্ণুপুর, যাত্রাপুর, কার্ত্তিকদিয়া, মানসা, বাহিরদিয়া পাগলা, মাদারীপুর টেকেরহাট রামপাল মংলা ও বটিয়াঘাটা সহ দুরদুরান্ত থেকে শতশত পান চাষি ও ক্রেতারা এই পান বাজারে পান ক্রয়-বিক্রয় করতে আসেন। এই বাজারটি মুলত দুই ভাগে বিভক্ত।

বকুলতলায় রাস্তার উপর যেখানে পান ক্রয়-বিক্রয় করা হয়, সেটি পান বাজার এবং রাস্তার অপর পার্শ্বে যেখানে কাঁচামালামাল তরিতরকারি ও মাছ মাংস অন্যান্য মালামাল বিক্রয় করা হয়, সেটিকে কাঁচা বাজার হিসাবে পরিচিত রয়েছে। পান বাজারে পান ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য ৪টি চান্দিনা রয়েছে। এই চারটি চান্দিনার মধ্যে ১টিতে বস্তিবাসি ও অন্যটি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে গেছে।

অন্য যে দুইটি চান্দিনা রয়েছে, তার উপরের টিনের ছাউনী বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট-বড় চিদ্র হয়েছে। পিলার গুলো থেকে সিমেন্ট হতে খসে পড়ছে। বড় চান্দিনার একটি অংশ নীল সরবর দিঘির মধ্যে চলে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে চান্দিনাটি ভেঙ্গে পুকুরের মধ্যে চলে যাওয়ার আশাংখা রয়েছে। এছাড়া এখানে কোন নলকুপের ব্যবস্থা নেই। একমাত্র পাবলিক টয়লেট তা ভেঙ্গে চুরে ব্যাবহারের অনুপেরযোগী হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে রাস্তার অপরপ্রান্তে অবস্থিত কাঁচা বাজারটির একই অবস্থা বিরাজ করছে। বৃষ্টি হলেই তা চান্দিনায় ভেতর পানিতে ভরে যায়। ৩টি চান্দিনার ১টি চান্দিনায় কিছু বিক্রেতা ঝুকি নিয়ে মাছ ক্রয়-বিক্রয় করলেও বাকি দুইটি ব্যাবহারের অনুপোযোগী। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সচেতন মহল উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন