আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গেল ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু ভোটের পর কারচুপি-জালিয়াতির অভিযোগ এনে এই নির্বাচন বাতিলের জন্য দেশটির সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন বাতিলের আবেদন করেছিলেন আলী খান নামে এক ব্যক্তি। আবেদনে আগের নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের সরাসরি তত্ত্বাবধানে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আদেশ দেয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করা হয়।
কিন্তু পরপর দুই দিন সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও, আবেদনকারী আলী খান সেখানে উপস্থিত হননি। মূলত আবেদনকারীর অনুপস্থিতির কারণেই এই আবেদন খারিজ করে দেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা।
শুনানির সময় পাকিস্তানের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, আলী খান একজন সাবেক ব্রিগেডিয়ার। পরে সুপ্রিম কোর্টে আলী খান যে মেইল পাঠিয়েছিলেন, তা পাঠ করেন প্রধান বিচারপতি। মেইলের বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আলী ই-মেইলে বলেছেন যে তিনি বাহরাইনে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন না।
সংক্ষিপ্ত শুনানির পর প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ আলী মাজহার ও বিচারপতি মুসাররাত হিলালির সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে আবেদনকারীকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।