আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
একদিনের ব্যবধানে পদত্যাগ করেছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের দুইজন বিচারপতি। তারা হলেন বিচারপতি ইজাজুল আহসান ও বিচারপতি সায়েদ মাজাহার আলি আকবর নাকভি। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিচারপতি ইজাজুল আহসান সংবিধানের ১৭৯ ও ২০৬ (এ) অনুচ্ছেদ অনুসারে পদত্যাগ করেছেন।
প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি ইজাজুল প্রেসিডেন্টর কাছে এক পাতার একটি পদত্যাগপত্র পাঠান। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি শুক্রবার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।
পদত্যাগপত্রে বিচারপতি ইজাজুল আহসান সুপ্রিম কোর্টে তার অতিবাহিত করা সময়কে ‘সম্মানের’ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি আর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে থাকতে চাই না।’ তবে চিঠিতে তিনি পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করেননি।
তবে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারপতি আহসান তার সাবেক মক্কেল মেসার্স বিএনপি প্রাইভেট লিমিটেডের ওয়ান কনস্টিটিউশন বিল্ডিং সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানি এবং তাদের পক্ষে রায় দেয়ার বিষয়ে একটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিচারপতি ইজাজুল আহসানের পদত্যাগের ঠিক একদিন আগেই বুধবার (১০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আরেক বিচারপতি সায়েদ মাজাহার আলি আকবর নাকভি পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ ছিল। পদত্যাগপত্র দেয়ার পর তিনি দ্য ডনকে বলেন, ‘আমি এখন স্বস্তিবোধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা এক কঠিন বাস্তবতা যে, আমাকে জনসাধারণের অধিকার থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে।’ বিচারপতি নাকভি দুঃখপ্রকাশ করে আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও অন্যান্য বিচারকরা আমাকে শুনানির সুযোগ দিতে নারাজ ছিলেন। প্রশাসনের ন্যায়বিচার আশা করা ঠিক ছিল না।’
প্রেসিডেন্টকে দেয়া পদত্যাগপত্রে তিনি আরও লেখেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে থাকা আর সম্ভব নয়। আমি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে পদত্যাগ করছি।’
পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার পর দেশটির পরবর্তী বিচারপতি হওয়ার কথা ছিল ইজাজুল আহসানের। তার পদত্যাগের পর এখন এই দৌঁড়ে এগিয়ে গেলেন বিচারপতি সৈয়দ মনসুর আলী শাহ। চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর পদত্যাগ করবেন প্রধান বিচারপতি ঈসা।