আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে মস্কোপন্থি রবার্ট ফিকোর এসএমইআর-এসএসডি দল জয় পেয়েছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, প্রায় ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফিকোর দল। যদিও সরকার গঠনে দলটিকে জোট গড়তে হবে।
রোববার (১ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
রবার্ট ফিকো কট্টর রুশপন্থি হিসেবে পরিচিত। তার দল সরকার গড়লে ইউক্রেনে অবিলম্বে সকল সামরিক সহযোগিতা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (১ অক্টোবর) সকালে দেয়া নির্বাচনের ফলাফলে এসএমইআর-এসএসডি ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশটির মধ্যপন্থি প্রোগ্রেসিভ স্লোভাকিয়া (এসপি) দলকে পরাজিত করেছে। প্রোগ্রেসিভ স্লোভাকিয়া পেয়েছে ১৭ শতাংশ ভোট।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর কিয়েভের প্রতি সমর্থন জানায় স্লোভাকিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর স্লোভাকিয়া প্রথম দেশ হিসেবে কিয়েভকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে দেশটি। তবে ইউক্রেনের প্রতি এই সমর্থন আর অব্যাহত রাখবে না বলে জানিয়েছেন রবার্ট ফিকো। এমনকি দেশটিকে ন্যাটোতে যোগদানে ভেটো দেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এসএমইআর-এসএসডি দলটি স্লোভাকিয়ার সাধারণ নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করে, যারা রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। স্লোভাকিয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে বিপাকে পড়তে পারে কিয়েভ।
ফিকো ও তার দলের যুক্তি, স্লোভাকিয়ার ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো উচিত নয় কারণ এটি যুদ্ধকে আরো দীর্ঘায়িত করবে। তারা বলছে, আমরা যদি ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করি তাহলে শান্তি আসবে। কারণ আমরা ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ালে সংঘাত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে।
এর আগে ফিকো ২০০৬ থেকে ২০১০ এবং ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিক জ্যান কুসিয়াক এবং তার বাগদত্তা মার্টিনা কুশনিরোভা হত্যার প্রতিবাদে কয়েক সপ্তাহের ব্যাপক বিক্ষোভের পর ২০১৮ সালের মার্চ মাসে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।