রাজনীতি ডেস্ক:
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোন কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই করা হবে, তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে উঠে আসে নির্বাচন সামনে রেখে নানা ইস্যু।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। এখানে জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি বা এই-যে এত বছর যেসব সংসদ সদস্য ক্ষমতায় আছেন, তারা জনগণের জন্য কতটুকু কাজ করেছেন; কতটুকু আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছেন–আমরা সেটা বিবেচনায় নিই। আর এ বিষয়গুলো যাচাই করি বলেই আমরা নির্বাচনে জয়ী হই এবং মানুষের জন্য কাজ করতে পারি।’
সরকারপ্রধান বলেন, অন্তত এতটুকু বলতে পারেন আজ বাংলাদেশের যে পরিবর্তনটা হয়েছে, সেটা আমাদের সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ না করলে হতো না। যত দুর্যোগ এসেছে, সেই দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। করোনাকালেই তো আমাদের অনেক সংসদ সদস্য মানুষের সেবা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব প্রশাসনকেই কাজে লাগাই। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে জনগণও সম্পৃক্ত না হলে এবং দল সুসংগঠিত না থাকলে যেকোনো সমস্যা মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যায়। আর আমরা সেটা পারি, কারণ আমাদের সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল আছে। আমাদের কর্মীরা নিবেদিতপ্রাণ। আমরা যখনই যে ব্যাপারে তাদের ডাক দিয়েছি, তারা ছুটে গেছে মানুষের পাশে।’
‘আপনারা দেখেন, ধান কাটতে পারছিলেন না কৃষক। বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সহযোগী সব সংগঠন নেমে পড়ল। কৃষকের পাশে গিয়ে ধান কেটে তাদের বাড়িতে তুলে দিয়ে এলো। করোনার সময় চিকিৎসার জন্য তারা সহযোগিতা করল। মানুষ ভয়ে টিকা দিতে চায় না। তাদের ধরে এনে বোঝাল আমাদের নেতাকর্মীরা। অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়া, তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, এমনকি যেখানে নিজেদের আত্মীয়স্বজন লাশ ফেলে চলে গিয়েছিলেন সেখানেও কাজ করেছেন তারা। প্রতিটা জেলায় বলে দিয়েছিলাম, অন্তত ১০০ সদস্যবিশিষ্ট একটা কমিটি করে যেভাবে পার, তাদের সাহায্য কর। আমাদের দলের লোকজন সেটা করেছে,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।
কাজেই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি ৬ মাস পরপর আমি সার্ভে করি। কারও অবস্থা খারাপ হলে তাকে মুখের ওপর বলে দিই যে আপনার অবস্থা খারাপ। এখানে এই এই কাজ করতে হবে আপনাকে। আর এ ব্যাপারে সচেতন বলেই নির্বাচনে আমরা জনগণের আস্থা পাই, জনগণের ভোট পাই, জয়ী হই এবং সরকার গঠন করি। এভাবে পরপর তিনবার দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি।