বাণিজ্য ডেস্ক :
উৎপাদকদের ওপর চাপ দিয়ে পণ্যের দাম বেশি লিখিয়ে নেয় সুপারশপগুলো। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন সুপারশপ কর্তৃপক্ষ। এদিকে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফ জবাব, তারা মূল্য নির্ধারণ করেন না, সেটি সরকারের ট্যারিফ কমিশন করে থাকে। তাই এর দায়-দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় এসব দাবি করে বিভিন্ন পক্ষ। এসময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিনিকেট চাল বিক্রি বন্ধের আগে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে বসতে হবে।
অভিজাত বিপণিবিতান হিসেবেই সুপারশপের ব্যবসায়িক পরিধি বাড়ছে। যেখানে ভোক্তার কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে কাজ করছে বড় বড় বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিয়ে বাড়তি দাম লিখিয়ে নেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের এমন অভিযোগের সুরাহা করতে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে সংস্থাটি।
এসময় সুপারশপের পক্ষে চ্যালেঞ্জ করে বলা হয়, এ অভিযোগ মিথ্যা। এমন প্রচারণায় বরং তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এদিকে, উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফ জবাব, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়, এতে তাদের কোনো হাত নেই।
উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উৎপাদকও নির্ধারণ করে দেয় না, আর সুপারশপও নির্ধারণ করে দেয় না। এটি মূলত ট্র্যারিফ কমিশন নির্ধারণ করে দেয়। সুতরাং, একে অপরের ওপর দোষ না চাপিয়ে, যেহেতু সরকার নির্ধারণ করে দেয় সেহেতু সরকারের হাতেই ছেড়ে দেয়া যাক বিষয়টি।
অভিযোগ তুললেও, দুইপক্ষের যুক্তি-তর্কের মুখে এসময় কোনো পক্ষকে দায় দিতে পারেনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এসময় সুপারশপের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সংস্থাটির মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, এ কঠিন সময়ে আপনারা অবশ্যই লাভ করবেন। আপনাদের স্কয়ার ফিট ভাড়া বেশি। আপনাদের অনেক কিছুই করতে হয়। আশা করি, এ কঠিন সময়ে আপনারা যৌক্তিক মুনাফা করবেন।
বাজারে যেন কোনো পক্ষ অযৌক্তিকভাবে ভোক্তার কাঁধে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপাতে না পারে, তা নিশ্চিতে বাজার অভিযান আরও জোরদার করার কথা জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক।