হোম রাজনীতি নিজ এলাকায় সাদামাটাভাবেই মতবিনিময় সারলেন শেখ হাসিনা

রাজনীতি ডেস্ক:

ব্যক্তিগত সফরের দ্বিতীয় দিনেও বেশ সাদামাটাভাবেই নিজ নির্বাচনী এলাকায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সারলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কোটালিপাড়া আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এরপর ফিরে যান টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাসভবনে। পরে সেখান থেকেই সীমিত প্রটোকল আর নিরাপত্তা প্রহরায় সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী।

সফরের দ্বিতীয় দিনের সকালটা তার কাটে গ্রামীণ পাকা সড়ক ধরে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াতে। সকাল ১০টার কিছু আগে সীমিত গাড়িবহরে শেখ হাসিনা পৌঁছান কোটালিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। অন্য সময় সরকারি গাড়ি সঙ্গে থাকলেও এই সফরে ফ্ল্যাগ ছাড়া ব্যক্তিগত বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীকে। এমনকি সফরে ছিল না রাষ্ট্রীয় প্রটোকলের ব্যঞ্জনা।

কোটালিপাড়ায় পৌঁছে তিনি ঘরোয়া বৈঠক করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে। বৈঠক শেষে নেতারা জানান, বৈঠকটি ছিল একেবারেই সাধারণ আলাপচারিতার।

তবে এবারের সফরে কেন হঠাৎ রাষ্ট্রীয় প্রটোকল দেয়া হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীকে? সেই ব্যাখ্যায় ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানালেন, নিরাপত্তায় ঘাটতি নেই। নির্বাচনকালীন বিধি প্রতিপালনেই এমন পরিস্থিতি।

প্রায় দুই ঘণ্টার কাছাকাছি সময় পর্যন্ত আলোচনা করে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে কোটালিপাড়া ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে গাড়ি ব্যবহার না করে হেঁটেই সমাধি থেকে নিজের বাড়িতে ফেরেন শেখ হাসিনা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে দুদিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। তারপর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।

এদিন নিজ বাড়িতে রাত যাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাতে টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনা নিজ বাসভবনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় যেতে হবে এবং সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন