আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী দল ন্যাশনাল পার্টি বড় জয় পেয়েছে। নির্বাচনের প্রাথমিক ফল বলছে, নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত দলটি ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
এর মধ্যদিয়ে পরবর্তী সরকার গঠন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হবেন দলটির নেতা ক্রিস্টোফার লুক্সন। এরই মধ্যে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি।
নিউজিল্যান্ডে গত ছয় বছর ধরে উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত লেবার পার্টির সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। যার বেশিরভাগ সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক নারী প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরদার্ন।
কিন্তু এখন থেকে মাত্র ৯ মাস আগে অনেকটা আকস্মিকভাবেই পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন দলের নেতা ক্রিস হিপকিন্স।
ক্রিস হিপকিন্সের দায়িত্ব নেয়ার ৯ মাসের মাথায় শনিবার (১৪ অক্টোবর) সাধারণ নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হলো। এই নির্বাচনে নিউজিল্যান্ডের জনগণ স্পষ্টতই পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৫২ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখে যাচ্ছে, বিরোধী ন্যাশনাল পার্টি ৪১ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করেছে।
বিপরীতে গত ছয় বছর দেশ শাসন করা লেবার পার্টির ঝুলিতে পড়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ ভোট। আর এসিটি পার্টি পেয়েছে ৯ শতাংশ ভোট।
সিএনএনের প্রতিবেদন মতে, নিউজিল্যান্ডে গত কয়েক বছর ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। হঠাৎ করে জিনিসের এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। নির্বাচনী প্রচারণায় এই বিষয়টাকেই প্রধান ইস্যু করে বিরোধী ন্যাশনাল পার্টি।
এছাড়া বিরোধীদের নির্বাচনী প্রচারের আরেকটি অস্ত্র ছিল করোনাপীড়িত বিধ্বস্ত অর্থনীতি। ২০২০ সালের শুরুর দিকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস আঘাত হানে প্রশান্ত মহাসাগরপাড়ের দেশ নিউজিল্যান্ডেও।
এরপর পরবর্তী প্রায় তিন বছর এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে লেবার পার্টির সরকারকে। এই লড়াইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা জিতে গেলেও অর্থনীতি ধসে পড়ে।
প্রধানত এই দুটি বিষয়কে হাতিয়ার করেই ব্যাপক জনমত তৈরিতে সফল হয়েছেন ন্যাশনাল পার্টির নেতা ক্রিস্টোফার লুক্সন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত গত ছয় বছরে জাসিন্দা সরকারের খারাপ পারফরম্যান্সের ‘শাস্তি’ ব্যালটের মাধ্যমে দিয়েছে জনগণ। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল পার্টিকে নতুন সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে।