আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা নাইন-ইলেভেনের ২২ বছর আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর)। ২০০১ সালের এই দিনে ছিনতাই করা বিমান নিয়ে আল-কায়েদা জঙ্গিদের চালানো হামলায় বিধ্বস্ত হয় টুইন টাওয়ার। ওই হামলায় নিহত হন প্রায় তিন হাজার মানুষ। এদিকে, হামলার ২২ বছর পর নিহত দুজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। দুটি বিমান ছিনতাই করে এদিন সকালে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে টুইন টাওয়ারে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। কিছুক্ষণের মধ্যে ধসে পড়ে ভবন দুটি। এদিন আরও দুটি ছিনতাই করা যাত্রীবাহী বিমানকে ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়ে মার্কিন সামরিক সদরদফতর পেন্টাগন এবং পেনসিলভেনিয়ায় হামলা চালানো হয়। সব মিলিয়ে চারটি ঘটনায় নিহত হন প্রায় তিন হাজার মানুষ। এদের মধ্যে অনেকের দেহাবশেষও পাওয়া যায়নি।
প্রতিদিনের মতো সকালে তারাও কাজে গিয়েছিলেন। কাজের জায়গা ছিল বিশ্ববিখ্যাত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। কিন্তু সেখান থেকে তারা আর ফিরে আসেননি। প্রায় তিন হাজার নিরীহ মানুষের মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশিও ছিলেন।
তারা হলেন- মুক্তাগাছার নূরুল হক মিয়া ও তার স্ত্রী মৌলভীবাজারের শাকিলা ইয়াসমিন, সুনামগঞ্জের সাব্বির আহমেদ, কুমিল্লার মোহাম্মদ শাহজাহান এবং সিলেটের সালাহউদ্দিন চৌধুরী ও আবুল কাসেম চৌধুরী। এদের মধ্যে সালাহউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী ছিলেন অন্তঃসত্তা। হামলায় প্রাণ হারানোদের মধ্যে ১০৫ জনের স্ত্রী অন্তঃসত্তা ছিলেন।
এদিকে, হামলার ২২ বছর পর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে নিহত দুজনের। নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের কার্যালয় জানিয়েছে, দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিহত একজন পুরুষ ও একজন নারীর পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে। তবে পরিবারের অনুরোধে তাদের নাম গোপন রাখা হয়েছে।
নাইন-ইলেভেন হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে যেতে থাকে দ্রুত। যুক্তরাষ্ট্র তাদের নীতি পরিবর্তন করে। মার্কিন জনগণ এখনও মনে করেন নিরীহ, নিরপরাধী, নিরস্ত্র মানুষকে যারা হত্যা করেছে; তাদের অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই।
২০০২ সাল থেকে প্রতি বছর ১১ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণ করা হয় শোক, শ্রদ্ধা আর হারানো স্বজনদের প্রতি ভালবাসায়।