আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
স্মরণকালের ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত কানাডা। পুড়ে চলেছে একের পর এক বনাঞ্চল। এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দমকলবাহিনীর ৬০০ সদস্য পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। খবর বিবিসির।
দেশটিতে দাউ দাউ করে চলছে একের পর এক বনাঞ্চল। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করছে সবকিছু। প্রকৃতির নির্মম এই বাস্তবতায় একরকম অসহায় কানাডা সরকার। আগুন নিয়ন্ত্রণে বিরামহীন কাজ করে চলেছে দমকল বাহিনী।
ভয়াবহ এ দাবানল থেকে রক্ষায় এরইমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ২০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে। যাদের আশ্রয় হয়েছে কানাডার বিভিন্ন অডিটোরিয়াম এবং ইনডর স্টেডিয়ামে। একসঙ্গে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে শত শত মানুষকে। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জীবনযাপন।
এরই মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে কানাডার পাশে দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে মার্কিন ফায়ার সার্ভিসের ছয়শর বেশি সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী আরও কয়েকটি দেশ।
এর আগে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় দাবানল নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে কানাডার পূর্বাঞ্চলের নোভা স্কটিয়া, কুইবেকসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। বর্তমানে চারশোর বেশি জায়গায় দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এরমধ্যে কেবল বৃহস্পতিবারই (৮ জুন) নতুন করে দেড়শর মতো জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। একশোর বেশি আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলেও জানানো হয়।
গেলো কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাডার এ চলমান দাবানলে দেখা দিয়েছে বায়ুদূষণ। চোখ জ্বালাপোড়াসহ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে অনেকের। দাবানলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।