মোঃ তাজমুল হোসেন, ঝিকরগাছা (যশোর) :
যশোরের ঝিকরগাছায় সিভিল সার্জনের নির্দেশ অমান্য করে পরিচালিত হচ্ছে অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সম্প্রতি সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন ঝিকরগাছার সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় যাদের অনুমোদন নেই তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু তার নির্দেশ অমান্য করে অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পূর্বের ধারায় পরিচালিত হচ্ছে। ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৮ টি ক্লিনিক আছে। তার মধ্যে ১৪ টির লাইসেন্স আছে ৪ টির নেই। এছাড়াও ২৯ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ১৫ টির লাইসেন্স আছে। এর মধ্যে কারো কারো অনলাইনে আবেদন করা আছে।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনকালে জানান, মোহাম্মদ আলী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সালেহা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফতেমা ক্লিনিক, স্টার ডায়াগনস্টিক এবং বাঁকড়া সায়েরা সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাবের লাইসেন্স প্রদানের জন্য পরিদর্শন রিপোর্ট প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে লাইসেন্স প্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে এস.এস ডায়াগনস্টিক ও জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে দুটি নতুন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স না থাকায় তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলার বাঁকড়ায় একতা মেডিকেল সার্ভিস, বাঁকড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্টার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পারবাজার সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই পরিচালনা করার কারণে সেগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সিভিল সার্জনের নির্দেশ অমান্য করে ঘোষণাকৃত বন্ধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তাদের সকল কার্যক্রম চালু রেখেছে। এ সমস্ত ক্লিনিকগুলো পরিচালনার জন্য কোনো শর্ত মানা হয়নি। এমন কি তাদের বর্জ্য ফেলার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্লিনিক কর্মচারী জানান, বাঁকড়া ক্লিনিকের সকল বর্জ্য কপোতাক্ষ নদে ফেলা হয়।
যা এলাকার মানুষের জন্য খুবই বিপজ্জনক। উপজেলা স্যানিটরি ইন্সেপেক্টর গনপতি বিশ্বাস জানান, সিভিল সার্জন স্যার পরিদর্শনে এসে উপজেলার ১২ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ৯ টি ক্লিনিক বন্ধ করেছেন। তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শর্তপূরণ নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. হাবিবুর রহমান জানান, বন্ধকৃত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর উপর নজরদারী করা হচ্ছে। তবে অনেকেই অনলাইনে আবেদন করেছেন। সেগুলো যাচাই বাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহিনের মোবাইল ফোনে জানান, নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।