বাণিজ্য ডেস্ক:
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সাড়ে ৩৬ হাজার টন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরে ভিড়েছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি পাভো ব্রেভ। জাহাজটি জেটিতে আসার পর চলছে কয়লা খালাস কার্যক্রম।
সোমবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে রোববার (২ জুলাই) দুপুরে পায়রা বন্দরের ইনারে আসে এমভি পাভো ব্রেভ নামের ২০০ মিটার দীর্ঘ মাদার ভ্যাসেল। পানামার পতাকাবাহী এই জাহাজটিতে করে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৭০ মেট্রিক টন কয়লা। সোমবার সকালে জেটিতে আসার পরপরই শুরু হয় কয়লা খালাস কার্যক্রম।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শেষে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রিজার্ভারে পৌঁছে যাবে বলেও জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, ডলার সংকটের মধ্যেও সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সমন্বয় করে ১৩০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দিয়েছে। তা দিয়ে ৭ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা কেনা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি জাহাজ এসেছে। পর্যায়ক্রমে আসবে আরও ১৫টি জাহাজ।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৫, ৬ ও ৭ জুলাই পরপর তিনটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিটের উৎপাদন বর্তমানে চলমান রয়েছে। পিডিবির চাহিদা অনুযায়ী আরেকটি ইউনিট শিগগিরই চালু করা হবে।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। এটি চালাতে প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দিয়ে থাকে চীনা অংশীদার সিএমসি। ডলার সংকটের কারণে সময়মতো বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল।
এতে চলতি বছরের ৫ জুন কয়লা সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০ দিনের জন্য বন্ধ থাকার পর ২৫ জুন ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার টন কয়লা এলে তা দিয়ে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সর্ববৃহৎ এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালু করা হয়।