নড়াইল অফিস:
“গত বছর থেকে বাংলাদেশী দক্ষ শ্রমিকদের জন্য আলাদা ডেস্ক খুলেছে জাপান,দক্ষ শ্রমিকেরা জাপানী কারখানা সহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে পারবে। এই দক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে নাার্সিং অন্যতম। তবে তার জন্য জাপানী ভাষাটা জরুরী। জাপান দূতাবাস দক্ষ শ্রমিক সহ বাংলাদেশের জনগন আদান প্রদান কোন অবস্থাতেই ছাড়বে না” নড়াইলে জাপান-বাংলাদেশ গ্লোবাল নার্সিং কলেজ স্থাপনে এসে এসব কথা বলেন জাপানী রাস্ট্রদূত মি.আইওয়া কিমিনারী। এসময় তার সঙ্গী তার স্ত্রী ও ছিলেন।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে নড়াইলের লোহাগড়া রামপুরায় জাপানের ব্যবস্থাপনায় একটি নার্সি কলেজ ও ২০ শয্যার হাসপাতাল এর ভিত্তি স্থাপন করেন রাস্ট্রদূত। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাপানের ব্যবসায়ী মি.রায়সুকে হনজো,ড.সৈয়দ এমদাদুল হক, এডি এম লিংকন বিশ^াস, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর কা ন,লোহাগড়া পৌরমেয়র মশিয়ার রহমান।
উল্লেখ্য: ড.ইমদাদুল হক এবং তার জাপানী বন্ধু হনজু মিলে লোহাগড়ার নোয়াগ্রামে এমদাদ-হনজো আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে ২০১২ সালে।
সূত্র জানায়, নতুন পরিকল্পনায় জাপান-বাংলাদেশ গ্লোবাল নাসিং কলেজে ৫ তলা বিশিষ্ট দুটি ভবন নির্মিত হবে। এর একটিতে একাডেমক ভবন সহ ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল অন্যটিতে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সহ জাপানী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। জাপানী কারিগরিতে পারিচালিত এই কলেজ থেকে সরাসরি জাপানে নার্স নেয়া হবে বলে আয়োজনরা জানান।
জাপানী রাস্ট্রদুত ড.সৈয়দ ইমদাদ কে জাপান-বাংলাদেশের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি উল্লেখ করে বলেন তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের একজন পরিচালক হিসেবে ২০২১ সাল থেকে কাজ করছেন। তার মাধ্যমে বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জাপানে পড়ালেখার ব্যাপাারে উৎসাহিত করছে।