হোম অন্যান্যসারাদেশ জরুরি বৈঠবে সিদ্ধান্ত বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে লোড আনলোড হবে, প্রবেশের অপেক্ষায় ২২১৪ ট্রাক

জরুরি বৈঠবে সিদ্ধান্ত বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে লোড আনলোড হবে, প্রবেশের অপেক্ষায় ২২১৪ ট্রাক

কর্তৃক
০ মন্তব্য 139 ভিউজ

মিলন হোসেন বেনাপোল :
বেনাপোল পেট্রাপোল চেকপোষ্টের নোম্যান্সল্যান্ডে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য লোড আনলোড হবে এমন সীদ্ধান্ত নিল ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নোম্যান্সল্যান্ডে এক জরুরী বৌঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। । নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতি প্রয়োজনীয় ও পেরিশেবল পণ্য দিয়ে ভারত রফতানি শুরু করবে, পরে অন্যান্ন আইটেম ও বাংলাদেশ থেকে রফতানির হবে।
করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউনের মধ্যে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নোম্যান্সল্যান্ডে এক জরুরী বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসায়ী নেতারা। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুলের নের্তৃত্বে উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সদস্য আমিনুর রহমান আনু, ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান প্রমুখ । ভারতের পক্ষে সিএন্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীর নের্তৃত্বে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ আমদানি-রফতানি কারক সমিতির সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস প্রমুখ । জরুরি বৈঠকে বক্তারা বলেন করোনার কারনে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি চালু করতে পারছে না পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরের সেন্ট্রাল পার্কিং থেকে বনগাঁ পৌরসভার কালিতলা পার্কিং পর্যন্ত ২২১৪ টি রফতানির পণ্য বোঝাই ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য সরকারের মতপার্থক্যের জন্য পূর্বের ন্যায় বানিজ্য চালু হচ্ছে না। ফলে পাটবীজ সহ বিভিন্ন প্রকার পচনশীল পণ্য ও শিল্প কল কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল আটকে পড়ায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে। দু’দেশে প্রায় ৩০/৪০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। আমদানি-রফতানি চালু হলে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চতা ফিরে আসবে। করোনা থেকে রক্ষা পেতে বন্দর ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা মুলক হ্যান্ড গ্লোপ্স, মার্কস, হ্যান্ড সেনিটাইজার অথবা সাবান পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনা ভাইরাসের জন্য ভারত সরকার দফায় দফায় লকডাউন বৃদ্ধি করায় আমদানি-রফতানি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। লকডাউন ঘোষনা পর গত ২২ মার্চ থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সকল প্রকার আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় ট্রাক চালকরা বাংলাদেশে গেলে চালককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখবে পেট্রাপোল পুলিশ তাই ভারতীয় ট্রাক নোম্যান্সল্যান্ড পর্যন্ত যাবে। বাংলাদেশী ট্রাক ও শ্রমিকরা সেখান থেকে মালামাল লোড আনলোড করে নেবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতি প্রয়োজনীয় ও পেরিশেবল পণ্য দিয়ে রফতানি শুরু করা হবে, পরে অন্যান্ন আইটেম ও দেয়া যাবে। পরিস্থিতি ভাল হলে পূর্বের ন্যায় কাজ করা যাবে। বেনাপোল আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল ওয়াহাব বলেন নোম্যান্সল্যান্ড ব্যবহার করতে হলে বিজিবির উপরিমোহল থেকে অনুমতি নিতে হবে। বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল বলেন, করোনা ভাইরাসের জন্য দু’দেশে লকডাউন চলছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ও একটি বিষয় আছে। প্রবেশের অপেক্ষায় ২/৩ শ পণ্য বোঝাই ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে। রোজার সময় ফল পিয়াজের প্রয়োজন তাই নোম্যান্সল্যান্ড ব্যবহার করেই কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন