অনলাইন ডেস্ক :
দিন দিন দেশে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রতিদিনই ছাড়িয়ে যাচ্ছে পূর্বের দিনের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাকে। এমন ঝুঁকির মধ্যেও এ নিয়ে জনসাধারণের মাঝে পর্যাপ্ত সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। চলাফেরা করছেন অবাধে। সরকারও সাধারণ ছুটি আর বাড়ায়নি। এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে আরও দুই সপ্তাহ সাধারণ ছুটি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন- একদিকে সচেতনতার অভাব, অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য উপকরণও সহজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে, সাধারণ ছুটি সম্পূর্ণভাবে তুলে নেয়া হয়েছে। এতে জনগণের মাঝে রোগের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। তাই সামনের দিনগুলোতে সংক্রমণের মাত্রা কমে এলে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসা যেতে পারে।
সোমবার (১ জুন) ‘সাধারণ ছুটি-পরবর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে দেশের স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞগণ এ মতামত প্রদান করেন। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ এই ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করে।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘চলমান অতিমারিতে নানামুখী অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হলেও জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারের বিভিন্ন সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব দেখা গিয়েছে। তবে সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি; নাগরিক সেবাকে গুরুত্ব দিয়ে জনমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে হবে। এ ক্ষেত্রে, সাধারণ ছুটি পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা যেতে পারে।’
সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত সংলাপে অংশ নিয়ে বলেন, ‘সরকারের ত্রাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা আরও বৃদ্ধি করা জরুরি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিমারিতে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী খুবই ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।’