নিজস্ব প্রতিনিধি :
খুলনা করোনা হাসপাতালে ধারণক্ষমতার বাহিরে রেকর্ড সংখ্যক রোগি ভর্তি চিকিৎসাধীন রয়েছে। একশ’ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১২৫ জন রোগি ভর্তি রয়েছেন।
আর গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা বিভাগে করোনায় ৬ জন এবং উপসর্গে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের আইসিইউতে ১৩ জন এবং এইচডিইউতে ১২ জন রোগি চিকিৎসাধীন আছেন। এ অবস্থায় স্বল্প জনবল নিয়ে রোগির চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।
খুলনায় করোনা হাসপাতালে ১৫ দিন ধরে রোগী ভর্তির সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে টানা চার দিন শয্যার সংখ্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি আছেন। চলতি মাসের প্রথম ৫ দিন গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ১০৮ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। আর গত ২৭ মে থেকে ৫ জুন এই ১০ দিনে গড়ে প্রতিদিন ৯৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি থেকেছেন। এর আগের ১০ দিনে ১৭ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ৭০ জন রোগী ভর্তি থাকতেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ৯৬ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। এর বাইরে উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া ১৭ জন এবং ভারত থেকে আসা ১ জন ভর্তি ছিলেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ১১৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ১০ জন আইসিইউতে এবং আটজন এইচডিইউতে রয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ৭০ জনের মাঝারি ধরনের উপসর্গ রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৪ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকালপারসন সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ‘করোনা হাসপাতাল ১০০ শয্যার হলেও তার চেয়ে রোগী বেশি ভর্তি থাকছে। আমরা তাঁদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। রোগীর চাপ যদি আরও বাড়ে তাহলে আমাদের করোনা ইউনিট-২ চালু করার জন্য প্রস্তুতি আছে। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসক, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ জনবল চেয়ে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি জানান, হাসপাতালে তরল অক্সিজেনের মজুত দ্বিগুণ করা হয়েছে। করোনা হাসপাতালের পুরোটাই কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থায় চলছে। হাসপাতালে ২৪টা হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা আছে। আইসিইউ শয্যা আগে ১০টা ছিল। ৩০ মে থেকে শয্যা ২০টা করা হয়েছে। এর সঙ্গে ১০ শয্যার এইচডিইউ চালু করা হয়েছে।
এদিকে খুলনা বিভাগে করেনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৪২ জনের। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০১ জন। রোববার (০৬ জুন) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।