হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী চিকিৎসা সেবায় ঢিলেমি

খুলনার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী চিকিৎসা সেবায় ঢিলেমি

কর্তৃক
০ মন্তব্য 95 ভিউজ

সরকারি উদ্যোগে আছে মাত্র ১’শ বেড

খুলনা অফিস :
খুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে খুলনার ডায়াবেটিকস হাসপাতালটিকে একমাত্র ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে ১০টি আইসিইউ সহ বেড রয়েছে ১০০টি। যা অপ্রতুল হওয়ায় নতুন করে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে আরও ৪২ বেডের একটি করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে করোনা রোগীর নমুনা নিয়ে ফলাফল জানানো হচ্ছে। সক্ষমতার তুলনায় রোগী বেশি হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে অনেক জটিলতা।
এদিকে খুলনায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক রয়েছে প্রায় ১৬৭টি। এর মধ্যে দ’ুটি বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে আইসিইউ’এর ব্যবস্থা। অথচ এখন অবধি কোন হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিকে করোনা শনাক্তকরণ করা হচ্ছে না। যেখানে রাজধানীতে বেসরকারিভাবে অনেক আগেই করোনা শনাক্তকরণ শুরু হয়েছে। খুলনা জেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ কমিটির পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের করোনা চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছিল। তবে গত ৪ মাসেও দৃশ্যমান কোন কার্যক্রমই পরিচালনা করেনি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক মালিকরা। খুলনায় এখন পর্যন্ত করোনার রোগীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছে ২০জন। তবে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের দাবি, আগামী মাস থেকে করোনা শনাক্ত এবং প্রয়োজনে রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ বিষয়ে খুলনার করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ডা: মেহেদী নেওয়াজ জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত করোনা শনাক্তকরণের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে খুলনার প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি খুলনায় করোনা রোগীদের জন্য ১’শ বেডের ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় আরও ৪২টি বেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারী ক্লিনিকগুলোতে এখন অবধি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডা: গাজী মিজানুর রহমান বলেন, খুলনায় ৮১টি ক্লিনিক এবং ৮৬টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার আছে। কোথাও করোনা শনাক্ত বা চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়নি। তবে ১জুলাই থেকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা শনাক্তকরণ শুরু করা হবে। সরকারি নির্ধারিত ফি অনুযায়ী গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন হলেই কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
খুলনা জেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে করোনা শনাক্তসহ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার বিষয়ে জানানো হয়েছে। খুলনার ২টি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ ব্যবস্থা আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলেই তারা করোনা রোগীদের সেবা দেওয়ার মাধ্যমে সহযোগীতা করবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন