সৌরভ মন্ডল দাকোপ :
খুলনার দাকোপে করোনা সংক্রমন পরিস্থিতি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চলমান করোনা সংকটের মাঝে ঘটে চলেছে আইন শৃংক্ষলার মারাত্নক অবনতি। উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হক নিজামী বলেন, দাকোপে এ পর্যন্ত ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে পানখালী ইউনিয়নের লক্ষিখোলা এলাকার ফাতেমা বেগম, রাইমা বেগম এবং বানীশান্তার হিমাদ্রী মন্ডল সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরার পর গতকাল আবার পজেটিব আসে । বর্তমানে যারা আক্রান্ত আছেন চুনকুড়ি এলাকার নীপা হালদার, সুজাতা বাছাড়, সুরঞ্জন রায়, নুর মোহাম্মাদ মোড়ল, কামারখোলার উজ্জল মন্ডল, চালনা পৌরসভার জলিল শেখ এবং লাউডোপ এলাকার পুলিশের সদস্য ইন্দ্রোজিত রায় ও আরো নতুুন দুুুু ‘জন বাজুয়া এলাকার ।
উপজেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫৮ জনের। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৭২ জন। এ ছাড়া আইসোলেশনে আছে ৩ জন।
এ দিকে ভয়াবহ এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা বাসীর মাঝে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে।স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আনেক দোকান পাটে স্বাভাবিক অবস্থার মত কেনাবেচা, রাস্তা ঘাটে অবাধে চলাচল এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলার প্রবনতা কিছু মানুষের মাঝে অব্যহত আছে। সংকটময় এই পরিস্থিতিতে ঘটে চলেছে আইনশৃংক্ষলা পরিস্থিতির চরম অবনতি।
চলমান লক ডাউনের মাঝে চালনা আনন্দ নগর এলাকায় আনোয়ার হত্যা, বানীশান্তায় মোটর সাইকেল চালক হত্যা, কালাবগী সালেহা স্কুল সংলগ্ন এলাকায় গৃহবধু, চুনকুড়িতে এক মধ্য বয়সী মহিলা, তিলডাঙ্গায় নববধুসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সব শেষ গত ৯ জুন বাজুয়া এলাকায় সংগঠিত হয়েছে জোড়া খুন। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দু’ছাত্রের নৃংশংস হত্যাকে কেন্দ্র করে বাড়ী ঘরে হামলা ভাংচুর অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থার সংকটে জনসাধারনের মাঝে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবনতা সৃষ্টি হয়েছে।
এই সংকট থেকে উত্তরনে প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশাসনের কঠোর অবস্থান এবং জনপ্রতিনিধিদের আরো বেশী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন। করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে দাকোপে সমন্বিত উদ্যোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি জনসচেতনতা এখন খুব বেশী প্রয়োজন বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।