আবহাওয়া ডেস্ক:
অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ খুলনার জনজীবন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রার তাপপ্রবাহ। এরইমধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) খুলনার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এদিন দুপুর তিনটায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি করা সেলসিয়াস।
গত দুই সপ্তাহ ধরে পুরো খুলনা অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে চলছে তীব্র তাপ প্রবাহ। খুলনা বাদেও যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরার উপর দিয়েও একই রকম তাপ প্রবাহ বয়ে চলছে। সোমবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনা আবহাওয়া অফিসে ২০০০ সাল থেকে তথ্য সংগৃহীত আছে। আমাদের কাছে থাকা পরিসংখ্যন অনুযায়ী আজকের খুলনায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিগত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূলত গত দুই সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে তাপ প্রবাহ বয়ে চলছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া, জলাশয় ভরাট ও গাছপালা কেটে স্থাপনা গড়ে তোলাই প্রধানত গরম বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এ ছাড়া লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। চলতি বছরই গত ২৫ এপ্রিল খুলনায় তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর এপ্রিলে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং কয়রায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
অসহনীয় এই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগর জীবন। বিশেষ করে পথচারী, যানবাহন চালক, খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবি মানুষ সবথেকে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকেই গরমে ঘর থেকে বের হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। খুলনার হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে রোগীর চাপ।