হোম জাতীয় ‘কয়েদির চোখ তুলে নেয়ার দায় এড়াতে পারে না কারা কর্তৃপক্ষ’

জাতীয় ডেস্ক:

রোববার (১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে ‘কারাগারে এক কয়েদির চোখ উপড়ে নিলো আরেক কয়েদি’ সংক্রান্ত প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে মন্তব্য করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, নোয়াখালীর জেলা কারাগারের নিচ তলায় এমন ঘটনা ঘটে। আহত কয়েদির নাম নূর হোসেন বাদল। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, অভিযুক্ত মহিন উদ্দিনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া নুর হোসেনের চিৎকারে কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

তবে কমিশন মনে করে, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারাগারের মতো নিরাপত্তা বেষ্টিত জায়গায় এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঘটনার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। উক্ত বিষয়টি তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেয় কমিশন।

জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বেগমগঞ্জের একলাশপুরের একটি নারী নির্যাতন মামলায় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নূর হোসেন বাদলকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়। পরে ওই মামলায় তিনি জামিন পেলেও অপর আরেকটি মামলায় তার বিচারকার্য চলমান থাকায় তাকে কারাগারে রাখা হয়।

কারাগারের নিচ তলার একটি কক্ষে অপর হাজতিদের সঙ্গে থাকতেন বাদল। গত দুই মাস আগে বাদলের এলাকা একলাশপুর ইউনিয়নের মহিন উদ্দিনকে মাদকদ্রব্যসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড হওয়ার পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন তিনি।

কারাগার কর্তৃপক্ষ জানান, দুই আসামির পারিবারের লোকজন জানিয়েছেন মহিন উদ্দিনকে আটক ও পুলিশে সোপর্দ করার পিছনে নূর হোসেন বাদলের মামাদের হাত রয়েছে। এর আগে কোনো একসময় বাদল চোখ তুলে নেবে বলে মহিনকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এসব ঘটনার জের ধরে রোববার ভোর ৬টার দিকে অন্য হাজতিরা ঘুমে থাকার সুযোগে কারাগারের দ্বিতীয় তলা থেকে নেমে এসে নূর হোসেন বাদলের বুকের ওপর বসে কলম দিয়ে তার দুই চোখ উপড়ে ফেলার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন মহিন উদ্দিন। এ সময় বাদলের চিৎকারে অন্য হাজতি ও কারারক্ষীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন