লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ক’দিন। আল্লাহর আনুগত্য লাভের আশায় মুসলিমরা সাধ্যমতো পশু কোরবানি করেন। স্বাভাবিকভাবেই ঘরে ঘরে চলে মাংসের নানা পদের বাহারি ভোজন। তবে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস ও লবণের ব্যবহার আমাদের সবার স্বাস্থ্যের নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের এ সময় বেশি সতর্ক থাকা উচিত। সেটি না হলে হঠাৎ করেই ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
তাই ঈদে সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীরা করবেন যে নিয়ম মানবেন, সেই সম্পর্কে আলোচনা করেছেন ডাক্তার এম এন আলম। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. পরিমিত আহার করুন
উৎসবের দিনগুলোতেও ক্যালোরি মেপে আহার করুন। বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট সম্পৃক্ত খাবার যেমন-পোলাও, খিচুড়ি, মিষ্টান্ন, তেহারি, বিরিয়ানি ইত্যাদি।
২. স্বাস্থ্যকর মিষ্টান্ন
সচারচর যেসব মিষ্টান্ন রক্তে সুগার বৃদ্ধি করে তা পরিহার করুন। ডেজার্টে রাখুন-টকদই, এক মুঠো বাদাম, ফলের সালাদ ইত্যাদি।
৩. কোমলপানীয় নির্বাচনে সতর্কতা
অতিরিক্ত সুগারযুক্ত কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকস বা ফলের জুস পরিহার করুন। তার পরিবর্তে চলতে পারে ডাবের পানি, গ্রিন টি, আদা চা। এ গরমে যথেষ্ট ও পরিমাণমতো পানি পানের ব্যাপারটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।
৪. অতিরিক্ত ভোজন পরিহার
যখন আপনার ক্যালোরি অনুযায়ী খাবার খাওয়া হয়ে যাবে, তখনই আপনি টেবিল ছেড়ে উঠে পড়ুন। সাধারণত এ ধরনের উৎসবে সবার সঙ্গে বসে অতিরিক্ত ভোজন হয়ে যায়, কারোর অনুরোধে খাদ্য তালিকার বাইরে অতিরিক্ত ভোজন করবেন না।
৫. দৈনন্দিন ব্যায়াম বা হাঁটার কথা ভুলবেন না
অনেকেই মনে করেন উৎসবের দিনগুলোতে অন্যান্য দিনের মতো ব্যায়াম বা না হাঁটলেও চলবে। কিন্তু যেহেতু এ সময়গুলোতে অতিরিক্ত ভোজন বা অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে রক্তে সুগার বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ে, তাই অন্যান্য দিনের মতো এ উৎসবেও নিয়মিত হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।
৬. প্রতিদিনের খাদ্য গ্রহণের সময় অপরিবর্তিত রাখুন
অন্যান্য দিনের মতো উৎসবের দিনগুলোতেও দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা ও খাদ্য গ্রহণের সময়সূচি মেনে চলুন। দিনের বেলাতে অতিভোজন হয়ে গেলে রাতের খাবার হালকা রাখুন।
৭. প্রতিদিনের ওষুধ গ্রহণে অবহেলা নয়
উৎসবে সারা দিন ডায়াবেটিসের রোগীরাও ঘরে বা বাইরে ব্যস্ত সময় পার করেন। তাই বলে প্রতিদিনের ওষুধ গ্রহণে অবহেলা করলে চলবে না। সময়মতো ডায়াবেটিস বা অন্যান্য ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করতে হবে।