জবি প্রতিনিধি:
সরকারী চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ও চারদফা দাবি বাস্তবায়নে রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (০৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩ টা দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মিছিল নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাঁতিবাজার মোড়ে পৌঁছে। সেখানে অস্থান নিয়ে তারা কোটা বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। সেখানে তারা এক ঘন্টা অবস্থান নিয়ে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তাঁতিবাজার মোড় ত্যাগ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘জেগেছে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যয়’, আঠারোর হাতিয়ার’ গর্জে উঠো আরেক বার’, কোটা প্রথা নিপাত চাই, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘মেধাবীরা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ শ্লোগান দেয়।
আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কবি নজরুল কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সানাউল্লাহ সাজিদ নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন ২০১৮ সালে সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলেও আবার ওটা চালু করেছে। পহেলা জুলাই থেকে আমরা লাগাতাল আন্দোলন করছি, দাবি মানা না হলে এ আন্দোলন চলবে।
অপর শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, আন্দোলন যতদিন না সফল হবে, ততদিন আমরা ঘরে ফিরবো না। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে।
মেহেরুন্নেছা নামে এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর কোথাও নারীরা কোন অংশে পিছিয়ে নেই। তাই প্রাথমিকে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা সহ সব ধরণের কোটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো:
এক. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
দুই. ‘১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
তিন. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
চার. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।