হোম অন্যান্যসারাদেশ কেসিসি’র নিয়ন্ত্রিত কোরবানির পশুর হাটে কমেছে হাসিল আদায়

কেসিসি’র নিয়ন্ত্রিত কোরবানির পশুর হাটে কমেছে হাসিল আদায়

কর্তৃক
০ মন্তব্য 99 ভিউজ

খুলনা অফিস :
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) কোরবানির পশুর হাটে চলতি বছর হাসিল আদায় কমেছে ৪৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৪৮ টাকা। করোনার কারণে কোরবানির পশুর বিকিকিনি কম হওয়ায় হাসিল কমেছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। ঈদের দিন ভোর পর্যন্ত (১ আগষ্ট) হাট থেকে কর্তৃপক্ষ সর্বমোট ১ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭টাকা আদায় করেছে।

কেসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাহিদ হোসেন জানান, এবার কেসিসি নিয়ন্ত্রিত কোরবানির পশুর হাটে মোট ৬ হাজার ১৬৯টি পশু বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে গরু ৪ হাজার ৭৭২টি, ছাগল ১ হাজার ৩৬০টি এবং অন্যান্য পশু ছিল ৩৭টি। সর্বমোট হাসিল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭টাকা। ২০১৯ সালে সর্বমোট পশু বিক্রি হয়েছিল ৭৮০৫টি। এর মধ্যে গরু ৬১৪৪টি, ছাগল ১৬৫৬টি ও ভেড়া ছিল ৫টি। কেসিসি’র হাসিল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার ৯শ’ ৫৫ টাকা।

কেসিসি’র সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে পশু বিক্রি হয়েছিল ৭ হাজার ৩২টি। এরমধ্যে গরু ৫ হাজার ৩৮২টি ও ছাগল ছিল ১ হাজার ৬৪২টি । হাসিল আদায় ছিল ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮১ টাকা। ২০১৭ সালে পশু বিক্রি হয়েছিল ৮ হাজার ৪০৩টি। এর মধ্যে গরু ৬ হাজার ৭৩৭টি, ছাগল ছিল ১ হাজার ৬৫৭টি এবং ভেড়া ৫টি। হাসিল আদায় ছিল ২ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৩ টাকা।
কেসিসি’র কাউন্সিলর ও কোরবানির পশুর হাট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মো: শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে এই বছর পশু বিকিকিনি কমেছে। হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোরবানির পশু ছিল। দামও ছিল নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। কিন্তু অনেকেই স্বাস্থ্যবিধির ও করোনার প্রভাবের কারণে হাটে আসেনি। ফলে পশু কম বিক্রি হওয়ায় হাসিল কম আদায় হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য নগরীর জোড়াগেট পাইকারি কাঁচা বাজারে পশুর হাট বসায় কেসিসি। আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাট পরিচালনা করতো। ২০০৯ সালে এই হাট থেকে কেসিসি’র আয় ছিল ৪৭ লাখ টাকা। এরপর ২০১১ সাল থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাট পরিচালনার উদ্যোগ নেয় কেসিসি। সেই থেকে এই হাটের মাধ্যমে কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছে কেসিসি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন