জয়দেব চক্রবর্তী, কেশবপুর (যশোর) :
যশোরের কেশবপুরের পাঁজিয়া পাথরা বিলের ১১ শ হেক্টর জমি ইরি বোরো আবাদ করতে জমির মালিক রা পানি সেচ কার্যক্রম শুরু করেছেন। ১১ শ হেক্টর জমির মধ্যে ৯ শ হেক্টর জমি ইরি বোরো ধান আবাদ উপযোগী হলেও বাকি ২শ হেক্টর জমির পানি সেচ কালক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম হচ্ছেন কৃষকরা।
পাথরা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি চার ভেন্ট গেট আছে। যা বতমান সময়ে নদীর সাইড পলিতে ভরাট হওয়ায় কোন প্রকার পানি নিষ্কাশনের পথ নেই।যে কারনে বিল এলাকার কৃষক রা বিঘা প্রতি ৭ শ ও বিল অভ্যন্তরের মাছের ঘরে মালিকরা ৮ শ টাকা হারে সেচ ব্যায় দিলেও সম্পুর্ন পানি সেচ করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। অপরদিকে সম্প্রতি বিল আড়োখালির সরকারি খাল অবৈধ দখল মুক্ত করতে খালে দেয়া বাঁধ কেটে দেয় প্রশাসন। এ কারণে পানি নিষ্কাশিত বিলে প্রবেশ করায় প্রায় ২শ হেক্টর জমি সেচ দিতে হিমশিম অবস্থা। কৃষক রা ধান আবাদের জন্য ইত্যবসরে জমিতে ধানের চারা রোপন করছেন নিষ্কাশিত বিলে।
এ বিষয়ে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সদস্য সাবেক ইউপি মেম্বার মহির উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ১১ শ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো আবাদ করতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন সেটা সংকুলান করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। সরকারি ভাবে সহযোগিতার হাত না বাড়ালে মানুষের কাংখিত আবাদ সম্ভব হবে না। অপর সদস্য মাহম্মুদুল হাসান জানান, তেলের মুল্য বৃদ্ধি হওয়ায়, যে পরিমাণ তেল দরকার সেটা দিতে না পারায় ৩০ টি সেচ মেশিনের মধ্যে ১৪ টি বন্ধ রয়েছে। কৃষক আব্দুল গফুর বলেন, সেচ কাযক্রম করায় বিলে আবাদ হচ্ছে, কিন্তু জমি নুতন করে প্লাবিত হওয়ায় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
মহির উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, উপরের পানির চাপ থাকায় বিল এলাকার রাস্তা গুলো রসে গেছে, যে কোন সময় রাস্তা ভেঙে পানি নিষ্কাশনের মাঝে আবারো আবাদি জমি তলিয়ে যেতে পারে। পাঁজিয়া ইউনিয়নের মেম্বর সিরাজুল ইসলাম বলেন, সেচ কাজে যে টাকার ইষ্টিমেট করা হয়েছিল, তার অতিরিক্ত খরচ হয় গোটা বিলের জমি আবাদযোগ্য করা কঠিন। সরকারি সহায়তা অতিব জরুরি।
পানি সেচ কমিটির সদস্য মহির উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, অতিরিক্ত পানি বাঁধ ভেঙে প্রবেশ করায় এখন খরচ দ্বিগুণ। তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিদের সহায়তার দাবি জানিয়ে বলেন, সহায়তা পেলে বিলের সমুদয় জমি ইরি বোরো আবাদ করতে বন্ধ থাকা মেশিন গুলো চালু করতে পারলে কোন সমস্যা থাকতো না।