স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) :
যশোরের কেশবপুরে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় একটি বিরোধপূর্ণ মৎস্য খামারে মৎস্য অবমুক্ত করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। কারসাজির মাধ্যমে ঘেরের চুক্তিপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধির অভিযোগে কেশবপুরে ঘের মালিক কামরুজ্জামান বিশ্বাসসহ ৭ জনের নামে আদালতে মামলা করা হয়।
গত ৩০ মার্চ জালিয়াতি করে ঘেরের চুক্তিপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধির অভিযোগে উপজেলার সাগরদত্তকাটি আমতলী বিলের ঘের কমিটির সভাপতি কিতাব্দী গোলদারের ছেলে আনছার আলী বাদি হয়ে যশোর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি আমতলী বিলের ৩১০ বিঘা জমি এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে ৫ বছর মেয়াদে চুক্তিপত্র করে কেশবপুর পৌর এলাকার আলতাপোলের কামরুজ্জামান বিশ্বাস মাছের ঘের করেন। যার সাদা জমি ১৪ হাজার টাকা, খাল বেড়ি ৩০ হাজার টাকা ধার্য্য করা হয়।
এরপর ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ঘের কমিটির সদস্য নুর মোহাম্মদ সরদার ঘের মালিকের সাথে যোগসাজসে হারির টাকা কমিয়ে ঘের কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালসহ ঘেরের কিছু সদস্যকে বাদ দিয়ে ৩ বছরের চুক্তিতে আরও একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন। যে চুক্তিপত্রে ঘেরের মেয়াদ ৫ বছরের স্থলে ৬ বছর করা হয়। এর একদিন পর ৪ ডিসেম্বর ঘেরের সভাপতি ও কিছু সদস্যকে বাদ দিয়ে চুক্তিপত্রটি নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেভিট করা হয়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে গত ৩০ মার্চ মামলার বাদি ঘের মালিকের কাছে জানতে চাইলে তাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়ায় তিনি আদালতে মামলাটি করেন। যার নং-১৪৩/২২। আদালতে এ মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত ১৪ এপ্রিল ঘের মালিক কামরুজ্জামান বিশ্বাস ওই বিরোধীয় ঘেরে মৎস্য অবমুক্ত করেন। যা নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এবিষয়ে কামরুজ্জামান বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ওই ঘেরে আমি গত ৫ বছর মাছ চাষ করেছি। আবারো আমাকে ১৭৬ জন জমির মালিকদের মধ্যে ১৬৭ জন ডিড করে দিয়েছেন। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে ১৪ এপ্রিল মৎস্য অবমুক্ত করা হয়েছে। কোর্টে মামলার বিষয়ে আমার জানা নেই।