সংকল্প ডেস্ক :
লড়তে হলে রান করতে হবে, ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথম জয় পাওয়ার অপেক্ষাটা বাড়তেই থাকবে। বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও সেটা ভালো করেই জানেন।
অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এবার শুরু হয়েছিল নিউজিল্যান্ড সফর। কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মতো যথেষ্ট সময় পাওয়া গেছে। নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ কেন উইলিয়ামসন আর রস টেলরও খেলছেন না। এবার তবে জয়খরা কাটানো সম্ভব!
কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচে যেমন পারফরম্যান্স উপহার দিলেন তামিমরা। তাতে বাকি সময় কী হবে, উদ্বেগ ভর করেছে টাইগার সমর্থকদের মনে। প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
এমন পারফরম্যান্সের পর কোনো অজুহাত দিতে চান না তামিম। তিনি বলেন, ‘আমার লাস্ট জুম প্রেস কনফারেন্সে আমি বলেছিলাম যে, আমি প্রস্তুতি নিয়ে কোনো দোষ দিব না। আর এটার কোনো অজুহাতও দিব না। কারণ আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে, আমরা ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলাম, ওখানে সাত দিন আমরা ছোট ছোট গ্রুপ করে অনুশীলন করতে পেরেছি। প্লাস কুইন্সটাউনে গিয়েও অনুশীলন করতে পেরেছি। সুতরাং আমার কাছে মন হয় না প্রিপারেশনে আমাদের কোনো ঘাটতি ছিল।’
তামিম যোগ করেন, ‘নিউজিল্যান্ডে গত চার বছরে আমরা প্রায় ২-৩ বার এসেছি। আমরা জানি কী আশা করতে হবে, কোন ধরনের বল হবে। তাই এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না যে আমাদের প্রিপারেশন ঠিক ছিল না। আমার কাছে মনে হয় আমাদের প্রিপারেশন যথেষ্ট ভালো ছিল।’
তাহলে হলো না কেন? তামিম মনে করেন, টপঅর্ডারের ব্যর্থতাই ভুগিয়েছে। আগামী ম্যাচগুলোতে ২৭০-২৮০ রান করতে হলে যে কোনো একজন ব্যাটসম্যানের অন্ততপক্ষে বড় রান পেতে হবে, তাহলেই লড়াই সম্ভব।