হোম আন্তর্জাতিক করোনার নতুন ধরন কতটা সংক্রামক, উপসর্গগুলো কী কী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

করোনা মহামারি শেষ হয়েও হচ্ছে না। ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। আবারও সেই চীনে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিলের মতো দেশগুলোতেও। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

নতুন করে যে সংক্রমণ বাড়ছে এর পেছনে রয়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিএফ.৭। এই ভাইরাস আগের বিএ.৫-এর বদলে যাওয়া রূপ। চীনের পর ভারতেও পৌঁছে গেছে এ ভাইরাস। বলা হচ্ছে, মানুষকে খুবই দ্রুত সংক্রমিত করতে পারে এই জীবাণু। আর তাই দেশে দেশে সরকার ও প্রশাসনের কপালে আবারও চিন্তার ভাঁজ দেখা যাচ্ছে।

ওমিক্রন বিএফ.৭

বিএফ.৭ ধরনটি অতি সংক্রামক। ভাইরাসটি সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংক্রমিত করে। করোনায় আক্রান্তদের আবারও আক্রান্ত করা এবং ভ্যাকসিন নেয়া ব্যক্তিরাও নতুন ধরনে সহজে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন।

সেল হোস্ট অ্যান্ড মাইক্রোব নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএফ.৭ ধরনটি চীনের উহানে সৃষ্ট করোনার প্রথম ধরনের চেয়ে ৪.৪ গুণ শক্তিশালী (নিউট্রাইলাজেশন রেসিসটেন্ট)। এর মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে, ভ্যাকসিন নেয়া উচ্চ রোগ প্রতিরোধসম্পন্ন ব্যক্তিরাও সহজে নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন।

এদিকে চীনের প্রতিবেশী ভারতে এখন পর্যন্ত বিএফ.৭ ধরনে আক্রান্ত চারজন ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুজন গুজরাট ও দুজন ওড়িশার বাসিন্দা। ভারত ছাড়াও জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।

ওমিক্রন বিএফ.৭-এর উপসর্গগুলো কী কী

শীতকাল মানেই সর্দি-কাশি, জ্বরের মৌসুম। কমবেশি সবাই এ সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা লেগেছে মানেই যেমন করোনা নয়, তেমনি ঠান্ডা লাগলেও তা এড়িয়ে যাওয়াও এ পরিস্থিতিতে বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সুরক্ষিত থাকতে তাই সবচেয়ে আগে জেনে নেয়া জরুরি ওমিক্রন বিএফ.৭-এর উপসর্গগুলো।

করোনার বাকি উপসর্গের সঙ্গে নতুন ধরনটির তেমন কোনো বৈসাদৃশ্য তথা অমিল নেই। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে। এ ছাড়া উপসর্গ হিসেবে জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি ও কাশি দেখা দেয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।

এ ভাইরাসে সংক্রমিত কোনো ব্যক্তি একই সঙ্গে ১০-১৮ জনের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে পারেন। সবচেয়ে উদ্বেগের ব্যাপার হলো, সবসময় যে উপসর্গ দেখা দেবেই তেমনটা নয়। নীরবে এসে বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। ফলে অত্যন্ত সাবধানে থাকা জরুরি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মাস্ক পরার অভ্যাস নতুন করে শুরু করা উচিত। রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মহামারির সময় ঠিক যে যে সুরক্ষা নেয়া হতো, আবারও তা নেয়া শুরু করতে হবে। টিকা নেয়া না থাকলে অবশ্যই তা নিয়ে নিতে হবে। বাড়ির বয়স্ক ও ছোট সদস্যদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন