হোম অন্যান্যসারাদেশ ‘করোনা উপসর্গ’ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ৭ মিনিটেই নারীর মৃত্যু

‘করোনা উপসর্গ’ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ৭ মিনিটেই নারীর মৃত্যু

কর্তৃক
০ মন্তব্য 143 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক :

ডায়বেটিস ও হাঁপানি প্রকোপ এবং ‘করোনার উপসর্গ’ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির ৭ মিনিটের মাথায় মারা গেছেন মোমেনা বেগম (৪৫) নামে এক নারী। তিনি রামু উপজেলার গর্জনিয়ার নুরুল হকের স্ত্রী।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন আবদুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে মোমেনা বেগমকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তার হাঁপানির প্রকোপ বেড়ে শ্বাসকষ্ট ছিল। অক্সিজেনের মাত্রা ছিল মাত্র ৮০ শতাংশ। প্রচন্ড বেড়ে গিয়েছিল ডায়বেটিসও। জরুরি বিভাগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তাকে আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি দেয়া হয়। সেখানে নেয়া মিনিট সাতেকের ভেতর তিনি মারা যান।

পরিবারের বরাত দিয়ে আরএমও আরও বলেন, অসুস্থ মোমেনা প্রথমে গ্রাম্য এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। এরপরও কোনো কূল না পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারীর কাছে যান। তিনি সদও হাসপাতালে পাঠান।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাহান নাজির জানান, মারা যাওয়া রোগীর হার্ট, ডায়বেটিস ও অ্যাজমার সমস্যা ছিল। তার ডায়বেটিসের মাত্রা ছিল ৫০০ মিলিগ্রাম। তবুও করোনাময় সময়ে যেহেতু মারা গেছেন তাই করোনা টেস্টেও জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. মহি উদ্দিন জানান, ভর্তিও ৭ মিনিটের মধ্যে মারা যাওয়া নারী মোমেনার নিয়মিত সমস্যা গুলোর মাঝে করোনার লক্ষণ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শনিবার পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি করোনার উপসর্গ বহন করছিলেন কি না।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবটিকে ঢাকাস্থ রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্টান (আইইডিসিআর) করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করেছে। গত পহেলা এপ্রিল থেকে ল্যাবটি চালু হয়েছে। এরপর প্রথম ৬ দিনে ২৪ জন, ৭ এপ্রিল ২৫, ৮ এপ্রিল ২৪ জন, ৯ এপ্রিল ২৭ জন, ১০ এপ্রিল ৩৭ জন, ১১ এপ্রিল ৯ জন, ১২ এপ্রিল ৩২ জন, ১৩ এপ্রিল ২৪ জন, ১৪ এপ্রিল ৩১ জন, ১৫ এপ্রিল ১৭ জন ও ১৬ এপ্রিল ৪১ জন এবং শুক্রবার ৩৯ জন সন্দেহভাজন রোগীর পরীক্ষা করা হয়েছে এই ল্যাবে। সব মিলিয়ে পরীক্ষা হওয়া রোগী সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন