বাণিজ্য ডেস্ক:
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চলতি বছর চাষিরা ৩ হাজার কোটি টাকার সরিষা উৎপাদন করেছেন বিধায় আলু উৎপাদন কম হয়েছে। তবে আগামী বছর উৎপাদন বাড়বে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিস আয়োজিত ‘কৃষি তথ্য ঢাকা আঞ্চলিক ও প্রেস ভবন উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের বাজারে আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। আমরা আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, তাই আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাজারে আলু দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশও করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাধ্য হয়েই আমরা আমদানির অনুমতি দিয়েছি। দেশের বাজারে আমদানি করা আলু এসেছে। সুতরাং, দামও কমে যাবে।’
তবে কিছু কিছু কোল্ড স্টোরেজের মালিক অস্বাভাবিক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও মন্তব্য করে আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দুর্নীতি বন্ধে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
আলু কম উৎপাদন হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বছর কৃষকরা আলু চাষ করেনি। এর পরিবর্তে তারা সরিষা উৎপাদন বাড়িয়েছে। তারা আলু জমিতে সরিষা উৎপাদন করেছে।
সামনের বছর আলুর উৎপাদন বাড়বে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন জাতের আলুর চাষে উৎপাদন বাড়বে। আর হয়তো ১৫ থেকে ২০ দিন কষ্ট হবে। তারপর সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সে সময় উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিকেজি আলুর যৌক্তিক দাম ১৪ টাকা ১৭ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ২৭ টাকা ৬৩ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৫ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। তবে এ দামে কোনো পর্যায়ে আলু বিক্রি নিশ্চিত করা যায়নি।
ফলে ৩০ অক্টোবর দেশে আলুর উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও যৌক্তিক কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক দামে বাজারে আলু বিক্রি হওয়ায় আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।