হোম অন্যান্যসারাদেশ কক্সবাজার কারাগারে কোয়ারেন্টাইনে ৪৭ বিদেশি

কক্সবাজার কারাগারে কোয়ারেন্টাইনে ৪৭ বিদেশি

কর্তৃক
০ মন্তব্য 115 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক :

করোনা ভাইরাস আতঙ্ক কক্সবাজার জেলা কারাগারেও ভর করেছে। ৫৩০ জন ধারণ ক্ষমতার কারাগারে বর্তমানে অবস্থান করছেন ৪ হাজার ৫শ’ বন্দি। ফলে করোনার সম্ভাব্য সংক্রমণ রোধে সম্প্রতি আটক হয়ে কারাগারে আসা মিয়ানমারের ৪৭ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নাগরিককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

জেল সুপার বলেন, ‘কাঠ বিক্রি করতে এসে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া মিয়ানমারের এ ৪৭ নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করে কারাগারে পাঠায়। মিয়ানমারের সাথে চীনের দীর্ঘ সীমান্ত থাকায় মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়। তাই গত ১৫ মার্চ হতে তাদের আলাদা করে রাখা হয়েছে।’

জেল সুপার আরো বলেন, ‘দেশ বা বিশ্বের চলমান সময়টা উদ্বিগ্নের। তাই জেলা কারাগারে আসা নতুন বন্দিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) থেকে যেসব নতুন বন্দী কক্সবাজার কারাগারে এসেছে তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রাখার পর মূল কারা ওয়ার্ডে নেওয়া হবে।

এ জন্য পৃথক একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে অবস্থানকালীন কারো মাঝে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে তা পরীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হবে।’

জেল সুপার মোকাম্মেল জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় কারা ফটক দিয়ে প্রবেশের পর বন্দিদের হাত ধোয়া ও পরিষ্কারের জন্য পানি ও সাবানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে কারাগারের অভ্যন্তরে প্রতিটি ওয়ার্ডে সাবান, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এছাড়া বন্দিদের মধ্যে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায়, সেজন্য চিকিৎসক ও কারাকর্মীদের মাধ্যমে মোটিভেশন দেওয়া হচ্ছে।

কারাগার সূত্র জানায়, সারাদেশে ৪৮টি কারাগারে রয়েছে প্রায় ৯০ হাজার বন্দি। করোনা ভাইরাস থেকে কারাবন্দিদের সুরক্ষায় গত ১০ মার্চ কারা অধিদফতর থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। কারাগারগুলো নির্দেশনা মানছে কিনা-তা তদারকি করতে বিভাগীয় ডিআইজিদের সপ্তাহে অন্তত দুটি কারাগার পরিদর্শন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গত ১০ মার্চ থেকে কারাগারগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে বন্দিদের রাখার ব্যবস্থা চালু হয়। সাধারণ বন্দিদের থেকে পৃথক ভবনে এ ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে।

জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, কারাগারের ভেতরে প্রতিটি ওয়ার্ডে সাবান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বন্দিদের পাশাপাশি এ নির্দেশনার আওতায় রয়েছেন কারারক্ষীরাও। তিনি বলেন, সদর দপ্তর থেকে ইনফারেড থার্মোমিটার প্রেরণ করা হচ্ছে।

প্রত্যেক আসামি আসার সঙ্গে সঙ্গে ইনফারেড থার্মোমিটার দিয়ে চেক করা হবে। যাদের তাপমাত্রা বেশি হবে, তাদের কারা হাসপাতালে আলাদা রাখা হবে। যাদের জ্বর-হাঁচি-কাশি থাকবে তারা ১৪ দিনে কোয়ারেন্টিন পালন করবে। তবে, এখনো পর্যন্ত কারও মধ্যে করোনার উপস্থিতি মিলেনি।

এছাড়াও, কারাবন্দিদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ সীমিত করা হয়েছে। জেল কোড অনুযায়ী সাক্ষাৎ যেন কঠোরভাবে প্রতিপালন হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া আছে। সাক্ষাৎকারের জন্য আসাদের রুমে প্রবেশের আগে পরিষ্কার করে হাত ধুয়ানো হচ্ছে। দৃশ্যমানভাবে অসুস্থ কোনও সাক্ষাৎপ্রার্থী এলে তাদের ভেতরে আসতে না দেয়ার নির্দেশনা মূল গেটে দেয়া আছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন