আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রাশিয়া তার আকাশে যুক্তরাজ্যের সকল প্রকার বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে।
ব্রিটেনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা অ্যারোফ্লোটের চলাচল নিষিদ্ধ করার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়া এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল। খবর বিবিসির।
রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের অবন্ধুসুলভ সিদ্ধান্তের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে কথা বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো।
তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তাকে পুতিনের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেছিলেন, কারণ তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
ম্যাক্রো বলেন, তিনি পুতিনকে ফোন করে বলেছেন যেন সামরিক অভিযান বন্ধ করা হয়।
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি তাকে আরও অনুরোধ করেছি যেন তিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেন।’
এদিকে আক্রমণের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ সৈন্যরা ঢুকে পড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এক টুইটে তারা জানায়, রুশ বাহিনী ওবোলন এলাকায় ঢুকে পড়েছে। শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত সংসদ ভবন থেকে রাশিয়ান সৈন্যদের দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নাগরিকদের মলোটভ ককটেল বানিয়ে রুশ সৈন্যদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
যখন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশে সাহায্য চাইছেন সেদিন ভোর থেকেই কিয়েভ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। তিনি আশঙ্কা করেন এতে সরকার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্ব অর্থনীতি।
কিয়েভ সিটি সেন্টার থেকে উত্তরে অবস্থিত ওবোলন আবাসিক এলাকার রাস্তায় রাশিয়ার ট্যাংক যেতে দেখা গেছে। বিবিসি লিখেছে, ওই ভিডিও যে ওবোলন এলাকার কোনো ভবন থেকে ধারণ করা হয়েছে, তা যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে।
কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা পল অ্যাডামস টুইট করেছেন, ‘গত ১০ মিনিটে কিয়েভে ছোট অস্ত্রের দুই দফা গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। কি ঘটছে, বোঝা অসম্ভব। তবে গুজব ছড়িয়েছে যে, রাশিয়ার সেনারা এর মধ্যেই শহরের মধ্যে কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।’
রাশিয়ান সেনাদের হামলার প্রথম দিন ইউক্রেনের অন্তত ১৩৭ সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩১৬ জন। খবর আল-জাজিরার।